ভাইদের মুক্তির চেষ্টায়: মেনেনডেজদের ৮৫ বছরের ফুফু’র অসুস্থতা, হাসপাতালে!

ক্যালিফোর্নিয়ার মেনেনডেজ ভাইদের মুক্তির জন্য যখন আইনি লড়াই চলছে, ঠিক তখনই তাদের ৮৫ বছর বয়সী মাসি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে তাদের মুক্তির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খবরটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, টেরি বারাল্ট নামের ওই বৃদ্ধা বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

১৯৮৯ সালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মেনেনডেজ ভাইয়েরা তাদের বাবা-মাকে হত্যা করে। এরপর ১৯৯৬ সালে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

সেই থেকে তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও তাদের মুক্তির জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

টেরি বারাল্ট, যিনি সম্পর্কে তাদের মাসি হন, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে ভাইদের মুক্তির জন্য চেষ্টা করে আসছিলেন।

তিনি নিজেও ক্যানসারে আক্রান্ত এবং বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ গুরুতর।

সম্প্রতি, লস অ্যাঞ্জেলেস জেলার সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় (District Attorney’s Office) আদালতে মামলার শুনানিতে নিহতদের কিছু ‘গ্রাফিক’ ছবি প্রদর্শন করে।

অভিযোগ উঠেছে, এর ফলে মেনেনডেজ পরিবারের সদস্যরা পুনরায় মানসিক আঘাত পেয়েছেন। টেরি বারাল্ট ছিলেন নিহতদের একজন, যিনি এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

বারাল্ট এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি চান তার দুই ভাইপোকে মুক্তি দেওয়া হোক।

তিনি বলেন, “৩৫ বছর অনেক দীর্ঘ সময়। আমার পরিবারের একটি অংশ যেন হারিয়ে গেছে। যারা মারা গেছে এবং যারা এখনও এর ফল ভোগ করছে।

তিনি আরও জানান, তিনি আশঙ্কা করছেন, ছেলেদের মুক্তি দেখে যেতে পারবেন না, কারণ তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়।

এদিকে, মেনেনডেজ ভাইদের আইনজীবী ব্রায়ান ফ্রিডম্যান এই ঘটনার জন্য লস অ্যাঞ্জেলেস জেলার সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেছেন, আদালতের এই ধরনের “দায়িত্বজ্ঞানহীন” সিদ্ধান্তের কারণে পরিবারের সদস্যরা পুনরায় আঘাত পেয়েছেন।

অন্যদিকে, সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আদালতের ছবি প্রদর্শনের কারণে যদি কারো কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে তারা দুঃখিত।

আদালতে মেনেনডেজ ভাইদের পুনরায় শুনানির আবেদন নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী ১৭ এপ্রিল এই বিষয়ে আরও একটি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *