কোচেলা: খাবারের দামে ‘দিবাক্বপ’, হতবাক সঙ্গীত প্রেমীরা!

কোচেলা ভ্যালি মিউজিক অ্যান্ড আর্টস ফেস্টিভ্যাল, যা সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে এক স্বপ্নের ঠিকানা, এবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এর খাদ্য ও পানীয়ের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে। ক্যালিফোর্নিয়ার ইনডিও-তে অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবে, সাধারণ মানুষের পকেট থেকে যেন ডলার উপচে পড়ছে, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

টিকটক সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন, যা শুনে অনেকেই বিস্মিত।

একজন অংশগ্রহণকারী, রুথ ভিভেরোস, টিকটকে একটি ভিডিও শেয়ার করে জানান যে, তিনি তিনটি ট্যাকো, এক প্লেট লোডেড নাচো এবং দুটি লেমনেডের জন্য ১০২ ডলার খরচ করেছেন।

যেখানে প্রতিটি লেমনেডের দাম ছিল ১৭ ডলার! খাবারের মান নিয়েও তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

শুধু খাবারই নয়, একটি পিৎজা স্লাইসের দাম ১৩ ডলার শুনে অনেকেই হতবাক হয়েছেন, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৫০০ টাকার সমান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই দামকে ‘শয়তানি’ আখ্যা দিয়ে উৎসব কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন।

তাদের মতে, এত বেশি দাম রাখাটা খুবই হতাশাজনক, বিশেষ করে যখন সেখানে খাবারের খুব বেশি বিকল্প নেই।

একজন মন্তব্য করেছেন, “কোচেলা যেন একটা ভয়ানক অর্থ-ফাঁদ, যেখানে সবাই আটকা পড়ে।”

কোচেলার ওয়েবসাইটে যদিও খাদ্য ও পানীয়ের বিভিন্ন বিকল্পের তালিকা দেওয়া হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ, দামের কারণে অনেক কিছুই উপভোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সাধারণ টিকিট-এর দাম ৬০০ ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০,০০০ টাকার কাছাকাছি।

টিকিট এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে উৎসবের অভিজ্ঞতা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে, যা অনেক সঙ্গীত প্রেমীর কাছে দুশ্চিন্তার কারণ।

তবে, এত কিছুর পরেও, অনেকে বলছেন যে সঙ্গীতের মান এবং উৎসবের পরিবেশের কারণে এই খরচ মেনে নেওয়া যায়।

এবারের উৎসবে লেডি গাগা, গ্রিন ডে, পোস্ট ম্যালোন এবং ট্র্যাভিস স্কটের মতো জনপ্রিয় শিল্পীরা পারফর্ম করেছেন।

বাংলাদেশেও বিভিন্ন উৎসব ও কনসার্টে খাবারের দাম নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হয়।

যদিও কোচেলার মতো আন্তর্জাতিক উৎসবের সঙ্গে এর তুলনা করা কঠিন, তবুও অতিরিক্ত দামের কারণে অনেক সময় সাধারণ মানুষ উপভোগ করতে পারেন না।

প্রশ্ন হলো, এত বেশি খরচ করে একটি উৎসবে যাওয়া কি সত্যিই লাভজনক?

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *