যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হচ্ছে, এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে খবর, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত চীন থেকে আমদানি করা ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, চীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে যে এমন পদক্ষেপের ফলস্বরূপ কোনো পক্ষই লাভবান হবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বাণিজ্য বিরোধের মূল কারণ হলো প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই।
যুক্তরাষ্ট্র চাইছে চীনের বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন আনতে, বিশেষ করে প্রযুক্তি ও মেধাস্বত্বের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, চীন তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও সুসংহত করতে চাইছে।
এই দুই পরাশক্তির মধ্যেকার এই টানাপোড়েন বিশ্ব অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক আরোপের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজারে।
স্মার্টফোন, কম্পিউটার, এবং অন্যান্য গ্যাজেটের দাম বেড়ে যেতে পারে, যা ভোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
শুধু তাই নয়, এই বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যা বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আমরা দেখি, তাহলে এই বাণিজ্য যুদ্ধ আমাদের জন্য কিছু সুযোগ এবং কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে।
চীন থেকে আমদানি করা ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বাড়লে, তা আমাদের বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অন্য বাজার থেকে পণ্য আমদানির দিকে ঝুঁকতে পারেন, যা নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি করতে পারে।
এছাড়াও, বিশ্ব অর্থনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে, আমাদের দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে।
বাণিজ্য সম্পর্ক রক্ষা এবং নতুন বাজার অনুসন্ধানের পাশাপাশি, স্থানীয় শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
যদিও এখনো পর্যন্ত শুল্ক আরোপের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি, তবে এমনটা হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে, যা বিশেষভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
পরিস্থিতি কেমন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে এখন সকলের নজর।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা