রাষ্ট্র দফতর: বাইডেন সরকারের আমলে খ্রিস্টানদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের কর্মীদের কাছে বাইডেন প্রশাসনের আমলে कथित খ্রিস্টান-বিরোধী পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন দপ্তরের ভেতরে বাজেট কাটছাঁট এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

খবরটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর মাধ্যমে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তর কর্মীদের কাছে বিশেষভাবে জানতে চেয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে কোনো খ্রিস্টান কর্মচারী বা তাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলা কারও প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে কিনা।

এই ধরনের অভিযোগের মধ্যে ধর্মীয় কারণে টিকা নিতে অস্বীকার করা, ব্যক্তিগত সর্বনাম ব্যবহারের বিরোধিতা অথবা ধর্মীয় ছুটির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চাওয়ার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

এছাড়াও, কোনো কর্মচারী যদি ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাজি না হন, সেক্ষেত্রে তার প্রতি কোনো ধরনের খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তাও জানাতে বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে খবর, অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।

এই টাস্কফোর্স কর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও ধারণাগুলো সংগ্রহ করবে।

যদি কোনো বৈষম্যের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

অভিযোগগুলো বেনামে জমা দেওয়ারও সুযোগ রয়েছে।

এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে কর্মী নিয়োগ ও নীতিতে ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব দূর করার চেষ্টা চলছে।

তবে, বাইডেন প্রশাসনের আমলে এ ধরনের বৈষম্য হয়েছে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

অন্যদিকে, দপ্তর সূত্রে খবর, বাজেট কাটছাঁট এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য প্রস্তুতি চলছে।

সরকারি কর্মকর্তাদের ধারণা, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য খুব শীঘ্রই হোয়াইট হাউসে পেশ করা হবে।

যদিও কর্মীদের মধ্যে অনেকেই এই সিদ্ধান্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

এছাড়াও, পররাষ্ট্র দপ্তরের অভ্যন্তরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন এসেছে।

সম্প্রতি, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার অফিসের প্রধান হিসেবে একজন জুনিয়র কর্মকর্তাকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়োগ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

কেউ কেউ মনে করছেন, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *