শিরোনাম: চেলসি’র দুর্বল পারফরম্যান্স: মাঠের পরিবেশ নিয়ে মন্তব্যের জেরে সমালোচিত কোচ মার্সকা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (English Premier League) চেলসি’র (Chelsea) বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ হতাশ সমর্থকরা।
মাঠের পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ায়, দলের কোচ এনজো মার্সকা’র (Enzo Maresca) উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।
বিশেষ করে সম্প্রতি ইপসুইচের (Ipswich) সাথে ২-২ গোলে ড্র হওয়ার পর, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের (Stamford Bridge) পরিবেশ নিয়ে কোচের করা মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলেছে।
এই মৌসুমে চেলসি’র খেলা মোটেও প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না।
বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করে খেলোয়াড় কেনা হলেও, মাঠের ফল তেমন ভালো নয়।
ক্রিসমাসের পর থেকে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে চেলসি’র অবস্থান ১৪ নম্বরে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।
এমন পরিস্থিতিতে দলের কোচের উপর চাপ বাড়াটাই স্বাভাবিক।
ম্যাচের পর মার্সকা’র মন্তব্য ছিল, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের পরিবেশ তার দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে।
তার এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারেননি চেলসি সমর্থকরা।
তাদের মতে, মাঠের খারাপ ফলের জন্য কোচ মূলত অজুহাত তৈরি করছেন।
সমর্থকদের একাংশ মনে করেন, অভিজ্ঞতার অভাবে মার্সকা, কার্লো আনচেলত্তি, আন্তোনিও কন্তে, থমাস টুখেল এবং জোসে মরিনহোর মতো সফল কোচদের মতো প্রভাব তৈরি করতে পারছেন না।
গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজের (Robert Sánchez) পারফরম্যান্স নিয়েও সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
ইপসুইচের বিপক্ষে ম্যাচে তার দুর্বলতা স্পষ্ট ছিল।
এছাড়া, দলের খেলার ধরনেও অনেক সমর্থক খুশি নন।
‘মারেসকাবল’ নামে পরিচিত কৌশল নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
আগের ম্যাচগুলোতেও মার্সকা’কে নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে।
এমনকি, লেস্টার সিটির (Leicester City) কোচের দায়িত্ব পালন করার সময়ও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন তিনি।
সমর্থকরা মনে করছেন, দলের এমন পরিস্থিতিতে কোচের উচিত ছিল আরও বেশি ইতিবাচক হওয়া।
চেলসি’র বর্তমান মালিকানা, টড বোহলি এবং ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটালের (Clearlake Capital) অধীনে দলটির ভবিষ্যৎ নিয়েও সন্দিহান সমর্থকরা।
তাদের মতে, খেলোয়াড় কেনায় এত বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করার পরেও কাঙ্ক্ষিত ফল না আসার কারণ হলো, মাঠের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভুল সিদ্ধান্ত।
তবে সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে কর্মকর্তাদের পরিবর্তে কোচের চাকরি হারানোর সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।