শিরোনাম: নভোযাত্রায় নারীদের জয়, বিতর্ক আর ব্যয়ের হিসাব
নীল নক্ষত্রের পথে নারীদের জয়যাত্রা নিঃসন্দেহে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সম্প্রতি, ব্লু অরিজিন নামক একটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তাদের নিউ শেপার্ড রকেটে করে প্রথম সম্পূর্ণ নারী ক্রু সহ একটি অভিযান সম্পন্ন করেছে। ১৪ই এপ্রিল, সোমবারের এই ঘটনার পরেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
এই মিশনে ছিলেন সাংবাদিক গেইল কিং, সমাজসেবী লরেন সানচেজ, প্রাক্তন নাসা রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বো, বায়োএস্ট্রোনাটিক্স গবেষণা বিজ্ঞানী আমান্ডা নিউয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান ফিন-এর মতো নারীরা।
মহাকাশ ভ্রমণের এই উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন অনেকে। অভিনেত্রী অলিভিয়া ওয়াইল্ড এই মিশনের সমালোচনা করে একটি মিম শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি মূলত এই বিশাল অংকের অর্থ ব্যয়ের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একই সুরে কথা বলেছেন অলিভিয়া মুন ও এমিলি রাতাজকোভস্কির মতো তারকারাও।
এই ফ্লাইটের ছবি ব্যবহার করে তিনি মন্তব্য করেছেন, “শত কোটি ডলার হয়তো কিছু ভালো মিম তৈরি করেছে।
তবে, এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা তাঁদের কার্যক্রমের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। গেইল কিং এক সাক্ষাৎকারে জানান, যারা এই অভিযানের সমালোচনা করছেন, তারা হয়তো এর পেছনের ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন।
লরেন সানচেজও এই মিশনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, ব্লু অরিজিনের কর্মীরা তাঁদের কাজকে ভালোবাসেন এবং এই মিশন তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের মতে, এই ধরনের মহাকাশ অভিযান তরুণ প্রজন্মের নারীদের অনুপ্রাণিত করে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ায়।
মহাকাশ গবেষণা সবসময়ই মানুষের কাছে আগ্রহের বিষয়। বিভিন্ন দেশ তাদের গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে মহাকাশ জয় করতে চায়। তবে, এই ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে।
কেউ কেউ মনে করেন, এই বিশাল অর্থ ব্যয় করা উচিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য অথবা পরিবেশ সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে।
এই বিতর্কের মাঝে, ব্লু অরিজিনের এই অভিযান একদিকে যেমন নারীদের ক্ষমতায়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, তেমনই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ভবিষ্যতে মহাকাশ ভ্রমণের খরচ এবং এর সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা আরও বাড়বে, এমনটাই ধারণা করা যায়।
তথ্য সূত্র: পিপল