গভর্নরের বাসভবনে আগুন: কেন এই ভয়ঙ্কর ঘটনা? তদন্তে চাঞ্চল্য!

পেনসিলভেনিয়ার গভর্নর জোশ শাপির বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে এবং এতে গভর্নরের পরিবারকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়।

এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কোডি বালমার নামে ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর সূত্রে জানা যায় বালমার গভর্নরের বাসভবনে আগুন লাগানোর আগে নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে ভেতরে প্রবেশ করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (Associated Press) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে গভর্নর শাপির পরিবার এবং আরও কিছু অতিথি, যাদের মধ্যে স্থানীয় ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্যরাও ছিলেন, তারা সবাই মিলে ফ্যামিলি গেট টুগেদার উদযাপন করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরই ভোর রাতের দিকে রাজ্য পুলিশের সদস্যরা এসে তাদের ঘুম থেকে তোলেন।

এরপর দ্রুত তাদের ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

আগুনের কারণে বাসভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের প্রধান ব্রায়ান এন্টারলাইন জানিয়েছেন, আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে নির্মিত গভর্নর হাউজে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না।

আটক বালমারকে ইতোমধ্যে অভিযুক্ত করে আদালত চেষ্টা ও হত্যার অভিযোগসহ সন্ত্রাসবাদ এবং অগ্নিসংযোগের মামলা করা হয়েছে। তবে, হামলার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।

বালমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গভর্নর শাপির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতেন। এমনকি, পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি জানান, গভর্নরের সঙ্গে দেখা হলে একটি ছোট হাতুড়ি দিয়ে তাকে মারধর করার পরিকল্পনা ছিল তার।

তদন্তকারীরা বালমারের অতীত জীবন খতিয়ে দেখছেন। জানা গেছে, বালমার পেশায় একজন ওয়েল্ডার ছিলেন এবং তার কোনো আয়ের উৎস ছিল না।

এছাড়াও, পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যাতেও তিনি জর্জরিত ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে মারধর, চুরি ও জালিয়াতির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, বন্ধকী ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ২০২২ সালে তার একটি বাড়ি নিলামে তোলারও ঘোষণা করা হয়েছিল।

বালমারের মা ক্রিস্টি বালমার জানান, তার ছেলের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা ছিল এবং তিনি এর জন্য সাহায্য চেয়েছিলে, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। যদিও আদালতে বালমার কোনো মানসিক অসুস্থতার কথা অস্বীকার করেছেন।

গভর্নর শাপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই ঘটনার কারণে তিনি তার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন না। তিনি আরও বলেন, যারা এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করতে চায়, তাদের কাছে তিনি হার মানতে রাজি নন।

তিনি বলেন, তিনি তার কাজ চালিয়ে যাবেন এবং তার বিশ্বাসের প্রতি অবিচল থাকবেন।

এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে এবং এর পেছনের আসল উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *