‘হোম এলোন ২’ ছবির পরিচালক ক্রিস কলম্বাস জানিয়েছেন, ছবি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃশ্যটি বাদ দিতে পারলে তিনি স্বস্তি পেতেন। কিন্তু তাঁর ভয়, এই কাজটি করলে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসন তাঁকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে পারে।
কলম্বাস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “এটা আমার কাছে একটা অভিশাপের মতো। আমি চাই এটা (ট্রাম্পের দৃশ্য) চলে যাক।” নব্বইয়ের দশকে নির্মিত ‘হোম এলোন ২ : লস্ট ইন নিউ ইয়র্ক’ ছবিতে ট্রাম্পের একটি ছোট চরিত্র ছিল।
সেই সময়ে ট্রাম্প ছিলেন একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী।
কলম্বাসের মতে, ছবিটির শুটিং লোকেশন হিসেবে নিউ ইয়র্কের ‘প্লাজা হোটেল’ ব্যবহারের শর্ত ছিল ট্রাম্পকে ছবিতে রাখা।
কলম্বাস জানিয়েছেন, ট্রাম্প নাকি বলেছিলেন, “আমি যদি ছবিতে থাকি, তবেই কেবল প্লাজা ব্যবহার করতে পারবো।”
যদিও ট্রাম্প তাঁর ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে কলম্বাসের এই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তাঁর দাবি, কলম্বাসের টিম নাকি তাঁকে ছবিতে অভিনয়ের জন্য অনুরোধ করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত এটি ছবির জন্য ভালো হয়েছে।
কলম্বাস অবশ্য ট্রাম্পের এই মন্তব্যের সরাসরি জবাব দেননি।
তবে তিনি সম্প্রতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি মিথ্যা বলছি না।
কোনো অ-অভিনেতাকে ছবিতে নেওয়ার জন্য আমি কখনো অনুরোধ করব না।
তবে আমরা প্লাজা হোটেলটি পেতে মরিয়া ছিলাম।
কলম্বাস জানিয়েছেন, তাঁর প্রথমে মনে হয়েছিল দৃশ্যটি বাদ দেবেন।
কিন্তু একটি প্রদর্শনীতে দর্শক-সারিতে হাসির রোল ওঠায় তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত বদলান।
ছবিতে ট্রাম্পকে ৭ সেকেন্ডের জন্য দেখা যায়, যেখানে তিনি প্লাজা হোটেলে যাওয়ার জন্য ম্যাকোলে কুলকিন অভিনীত চরিত্রটিকে পথ দেখাচ্ছিলেন।
ছবিটি মুক্তির পর বক্স অফিসে প্রায় ৩৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল, যা সে সময়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যবসা সফল সিনেমা ছিল।
২০১৯ সালে, যখন কানাডার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘হোম এলোন ২’ দেখানো হয়, তখন ট্রাম্পের দৃশ্যটি বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এরপরে, ২০২১ সালের শুরুতে, ছবির অভিনেতা ম্যাকোলে কুলকিনও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাম্পকে ছবি থেকে সরানোর ধারণাকে সমর্থন করেছিলেন।
সাক্ষাৎকারে কলম্বাস আরও বলেছেন, ট্রাম্পের প্রশাসন যদি তাঁকে বিতাড়িত করে, তবে হয়তো তাঁকে ইতালিতে ফিরে যেতে হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান