৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ! এআই খাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে এনভিডিয়া, তোলপাড়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে এনভিডিয়া, যা প্রযুক্তি জগতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক অবকাঠামো তৈরি করা হবে, যা আগামী চার বছরে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

জানা গেছে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্ক নীতির কারণেই মূলত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

এনভিডিয়া হলো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় চিপ ডিজাইন কোম্পানি, যাদের চিপস এআই প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কারখানা তৈরি করবে, যেখানে সুপার কম্পিউটার তৈরি করা হবে।

এর জন্য তারা ফক্সকন এবং উইসট্রনের মতো প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে কাজ করবে। ইতিমধ্যে অ্যারিজোনার ফিনিক্সে অবস্থিত তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (টিএসএমসি) কারখানায় ব্ল্যাকওয়েল গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে।

এছাড়া, টেক্সাসের হিউস্টন এবং ডালাসেও নতুন কারখানা তৈরির কাজ চলছে, যেখানে আগামী ১২ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে ব্যাপক উৎপাদন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং জানিয়েছেন, “যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়ানোর ফলে আমরা এআই চিপস এবং সুপার কম্পিউটারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ভালোভাবে পূরণ করতে পারব। এর মাধ্যমে সরবরাহ শৃঙ্খল আরও শক্তিশালী হবে এবং আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।”

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এনভিডিয়ার এই সিদ্ধান্ত “ট্রাম্পের নীতির ফলস্বরূপ”। উল্লেখ্য, ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

যদিও এর আগে, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ১০ শতাংশ শুল্ক থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং চিপসকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, খুব শীঘ্রই তিনি সেমিকন্ডাক্টর আমদানির ওপর শুল্কের হার ঘোষণা করবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তাইওয়ানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্ভরতা অনেক বেশি। যদিও ট্রাম্প তাইওয়ান থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা বর্তমানে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রয়েছে।

অন্যদিকে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তার ‘চিপস অ্যাক্ট’-এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ও গবেষণা বাড়াতে সহায়তা করেছেন।

এই বিনিয়োগের ফলে বিশ্ব বাজারে প্রযুক্তি পণ্যের দামে কেমন প্রভাব পড়বে, সেদিকে এখন সবার নজর। এছাড়া, বাংলাদেশের বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কারণ, উন্নত প্রযুক্তির সহজলভ্যতা বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত জরুরি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *