আতঙ্ক! কর বিভাগের গোপন ডেটা হাতিয়ে অভিবাসন অভিযানে ডগ!

শিরোনাম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির নামে গোপন করদাতার তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, তীব্র প্রতিক্রিয়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (আইআরএস)-এর গোপন করদাতার তথ্য অভিবাসন বিষয়ক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মদতে আইআরএস কর্মকর্তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে এই কাজটি করেছেন।

এর ফলে একদিকে যেমন অভিবাসন নীতির কড়া প্রয়োগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তেমনই রাজস্ব ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রথমে আইআরএস-এর কর্মকর্তাদের কাছে এই সংবেদনশীল তথ্য জানতে চান।

কিন্তু আইআরএস-এর কর্মজীবীরা এর বিরোধিতা করেন।

তাঁদের মতে, এই ধরনের তথ্য অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া বেআইনি।

আইআরএস-এর অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তারা এই বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন।

এমনকি, এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অনেকে পদত্যাগও করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, এই কাজটি করার জন্য আইআরএস-এর কর্মকর্তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।

তাঁদের মধ্যে যারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের অনেককে হয় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, নয়তো অন্য পদে বদলি করা হয়েছে।

এই বিষয়ে এলন মাস্কের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’র কর্মকর্তাদেরও যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

আইআরএস-এর অভ্যন্তরে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

কর্মীদের মধ্যে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনার উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

অনেকেই মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বহু অনিবন্ধিত অভিবাসী কর ফাঁকি দিতে পারেন, যার ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে।

আইনজীবীরা বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে করদাতাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে।

তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের ফলে অনেক অভিবাসী, বিশেষ করে অনিবন্ধিত অভিবাসীরা, হয়রানির শিকার হতে পারেন।

ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই ঘটনার জেরে অভিবাসী অধিকার সংগঠনগুলি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

তাঁদের মতে, এর ফলে অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং তাঁরা কর দিতে দ্বিধা বোধ করছেন।

এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, তা দেশের অর্থনীতিতে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন বিতর্কিত, তেমনই এর সম্ভাব্য ফল সুদূরপ্রসারী হতে পারে।

কারণ, এর ফলে যারা নিয়মিত কর দেন, তাঁদের মধ্যেও তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হতে পারে।

এমনকী, দেশের অর্থনীতিতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *