ঢাকা, [আজকের তারিখ] – আমেরিকান এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এয়ারলাইন্সের আনুগত্য প্রোগ্রামের সদস্যরা এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ এয়ারলাইন্স কোম্পানিটি তাদের বহরের প্রায় ৯০ শতাংশ ফ্লাইটে এই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে, আমেরিকান এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটে ওয়াইফাই ব্যবহারের জন্য চার্জ নিতো। তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি ফ্লাইটের জন্য ১০ ডলার থেকে শুরু করে বার্ষিক ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত খরচ হতো।
বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে, এটি প্রায় ১,১০০ টাকা থেকে ৬৬,০০০ টাকার মতো। তবে, বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা চালুর আগে এয়ারলাইন্সটি কিছু রুটে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালায় এবং তারা ইতিবাচক ফল পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য এয়ারলাইন্স, যেমন ডেল্টা এয়ার লাইনস এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা চালু করেছে। এমনকি, জেটব্লু ২০১৩ সাল থেকে তাদের ফ্লাইটে এই সুবিধা দিয়ে আসছে।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স তাদের বিনামূল্যে ইন্টারনেটের জন্য এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ব্যবহার করছে।
আকাশপথে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে গতির সমস্যা একটি সাধারণ অভিযোগ ছিল। তবে, স্যাটেলাইট সেবাদানকারী বিভিন্ন সংস্থা এবং এয়ারলাইন্সের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত এক দশকে এই প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, এ টি অ্যান্ড টি (AT&T) তাদের এই পরিষেবার পৃষ্ঠপোষকতা করবে, যা বিমানগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপনের খরচ কমাতে সাহায্য করবে।
বিমানযাত্রীদের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা নতুন কিছু নয়। ২০০৩ সালে বোয়িং কোম্পানি ‘কনেকশন’ নামে এই পরিষেবা চালু করেছিল, কিন্তু বাজারে প্রত্যাশিত চাহিদা তৈরি না হওয়ায় ২০০৬ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
এই ঘোষণার মাধ্যমে, আমেরিকান এয়ারলাইন্স তাদের গ্রাহকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা যোগ করতে যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশের যাত্রীদের জন্য এই ধরনের সুবিধা ভবিষ্যতে কোনো এয়ারলাইন্স নিয়ে আসে কিনা।
কারণ, অনেক বাংলাদেশি যাত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে ভ্রমণ করেন এবং তাদের জন্য এ ধরনের পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন