যুক্তরাজ্যের রাজ পরিবারের সদস্য, ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান মার্কেল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর অতীতের এক মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। প্রায় পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালে তিনি যে দুঃখজনক গর্ভপাতের শিকার হয়েছিলেন, সেই বিষয়ে তিনি তাঁর অনুভূতির কথা জানান।
“কনফেশনস অফ এ ফিমেল ফাউন্ডার” নামক একটি পডকাস্টে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেন, যেখানে “গার্লস হু কোড”-এর প্রতিষ্ঠাতা রেশমা সওজানির সঙ্গে তাঁর কথোপকথন হয়।
মেগান মার্কেল জানান, গর্ভপাতের শোকের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে কীভাবে তাঁকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে। একদিকে যখন একজন নারীর অনেক স্বপ্ন থাকে, অনেক আশা থাকে, তখন সেই স্বপ্ন ভেঙে গেলে তা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়াটা কতটা কষ্টের, সে বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন।
রেশমা সওজানির সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি সেই সময়ের মানসিক চাপ এবং প্রতিকূলতা নিয়েও কথা বলেন।
এই পডকাস্টে মেগান তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গিয়ে জানান, ২০২০ সালের জুলাই মাসে তাঁর গর্ভপাত হয়েছিল। এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তিনি যখন তাঁর প্রথম সন্তান আর্চির (৫) হাতে ছিলেন, তখনই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি তাঁর দ্বিতীয় সন্তানকে হারাতে চলেছেন।
এই গভীর শোক প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সন্তান হারানো এক ভয়ানক দুঃখ, যা অনেকেই অনুভব করেন, কিন্তু সে বিষয়ে খুব কম মানুষই কথা বলেন।
মেগান তাঁর বর্তমান জীবন নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, তিনি মা হিসেবে তাঁর সন্তানদের (প্রিন্স আর্চি ও প্রিন্সেস লিলিবেট) নিয়ে খুবই আনন্দিত।
মা হওয়ার অনুভূতি তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। তবে একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, শিশুদের থেকে কিছুক্ষণের জন্য দূরে যাওয়া তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
মেগান মার্কেল এবং তাঁর স্বামী প্রিন্স হ্যারির দাম্পত্য জীবন এবং তাঁদের দুই সন্তানের প্রতি ভালোবাসার কথা সকলেরই জানা। মা ও কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়েও তিনি কথা বলেন।
তিনি জানান, অনেক সময় তিনি তাঁর সন্তানদের থেকে দূরে থাকতে পারেন না, তাঁদের ছবি দেখতেই ভালোবাসেন।
মেগান সম্প্রতি “এজ এভার” নামে একটি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড চালু করেছেন এবং তাঁর এই নতুন যাত্রা নিয়েও তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, উদ্যোক্তা হিসেবে অন্য নারীদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া তাঁর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি মনে করেন, এই ধরনের অভিজ্ঞতা একজন মানুষকে নতুন কিছু শিখতে এবং এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র: পিপলস