জন অলিভার, যিনি তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত রসবোধ এবং গভীর বিশ্লেষণের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনটা সাধারণত লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখতেই পছন্দ করেন। তবে এই খ্যাতিমান কমেডিয়ানের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাঁর পরিবার, বিশেষ করে তাঁর দুই পুত্রসন্তান।
সম্প্রতি জানা গেছে, কীভাবে তিনি তাঁর ছেলেদের সাধারণ জীবন দিতে চান এবং বাবা হিসেবে তাদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করেন।
২০১৫ সালে অলিভার এবং তাঁর স্ত্রী কেট নরলির প্রথম পুত্র, হাডসন-এর জন্ম হয়। হাডসনের জন্মের সময়টা খুব সহজ ছিল না।
কঠিন গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের পর অলিভারকে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। সেই সময়ে, তিনি তাঁর সাপ্তাহিক কমেডি শো-এর কাজও চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
একজন বাবা হিসেবে, এই কঠিন সময়ে তিনি তাঁর সন্তানের প্রতি গভীর ভালোবাসা অনুভব করেন।
২০১৮ সালে তাঁদের পরিবারে আসে দ্বিতীয় পুত্রসন্তান। তবে এই ছেলের নাম এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনেননি অলিভার দম্পতি।
দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের খবরটি তাঁরা খুব সাধারণভাবে রেখেছিলেন, কারণ তাঁদের মতে, এটি প্রচার করার মতো বিশেষ কিছু ছিল না।
বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অলিভার প্রায়ই তাঁর অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাবা হওয়াটা একইসঙ্গে যেমন আনন্দদায়ক, তেমনই কঠিন।
শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং তাদের ভালোভাবে মানুষ করার চেষ্টা তাঁকে একজন ভালো বাবা হিসেবে পরিচিত করেছে।
তাঁর সন্তানদের নিয়ে অলিভারের কিছু মজার গল্পও রয়েছে। একবার তিনি জানান, তাঁর ছোট ছেলে ‘রেড হট চিলি পেপার্স’-এর ‘আন্ডার দ্য ব্রিজ’ গানটির প্রতি এতটাই আকৃষ্ট যে, রাতে সেটি না বাজালে তার ঘুম আসত না।
বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানেও তিনি তাঁর পরিবারের কথা উল্লেখ করতে ভোলেন না। একবার এমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি মজা করে বলেছিলেন, তাঁর ছেলেরা এখানে নেই, কারণ তিনি তাদের জন্য পোকেমন কার্ড আনতে ভুলে গিয়েছিলেন।
জন অলিভার সবসময় চেষ্টা করেন, তাঁর সন্তানদের স্বাভাবিক জীবন দিতে। তাদের ছবি বা ব্যক্তিগত বিষয়গুলো সাধারণত প্রচার করেন না তিনি।
তাঁর এই সিদ্ধান্ত বুঝিয়ে দেয়, খ্যাতির চেয়ে তাঁর কাছে পরিবারের গুরুত্ব অনেক বেশি।
তথ্যসূত্র: পিপল