লেনি ক্রাভিটজের প্যারিসের রাজকীয় বাড়ি! ছবিগুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে

বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লেনি ক্রাভিটজের প্যারিসের বাড়িতে একবার চোখ বুলিয়ে আসা যাক।

আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য পরিচিত এই তারকার প্যারিসের বাড়িটি যেন এক স্বপ্নপুরী।

সম্প্রতি আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্ট (এডি) ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে এই বাড়ির ভেতরের ছবি।

প্যারিসের ১৬তম অ্যারোন্ডিসমেন্টে অবস্থিত এই বাড়িটি এককালে ছিল এক countess-এর (মহিলা count) বাসস্থান।

লেনি ক্রাভিটজ ২০ বছর আগে বাড়িটি কিনেছিলেন।

প্রথমে এত বড় একটি বাড়ি দেখে খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

তাঁর মনে ছিল, “ছোট্ট একটা অ্যাপার্টমেন্ট হলে ভালো হত, হয়তো সেইন নদীর ধারে, এক-দু’টি বেডরুম, যেখানে বসে গান লিখব আর সময় কাটাব।

কিন্তু রিয়েল এস্টেট এজেন্টের পরামর্শে তিনি বাড়িটি দেখতে যান এবং প্রথম দর্শনেই এর প্রেমে পড়ে যান।

তাঁর মনে হয়েছিল, “এটাই আমার বাড়ি।

বাড়িটি যেন লেনি ক্রাভিটজের রুচি ও সৃজনশীলতার প্রতিচ্ছবি।

অন্দরসজ্জায় রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত শিল্পীদের কাজ, আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম এবং তাঁর নিজের ডিজাইন করা আসবাবপত্র।

এমনকি, বাড়িতে একটি ওয়াইন রুম এবং “দ্য শফেরি” নামে পরিচিত একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি স্পেসও রয়েছে।

তাঁর মেয়ে অভিনেত্রী জো ক্রাভিটজও মাঝে মাঝে এই বাড়িতে আসেন এবং পার্টি করেন।

লেনি ক্রাভিটজের এই বাড়িতে শিল্পীমনের ছোঁয়া স্পষ্ট।

এখানে অ্যান্ডি ওয়ারহল-এর মাস্টারপিস, আফ্রিকার নানা শিল্পকর্ম, সঙ্গীতের সরঞ্জাম এবং পল ইভান্স, কার্ল স্প্রিংগার, আফরা ও টোবিয়া স্কারপা, জো কলম্বো’র মতো খ্যাতনামা শিল্পীদের ডিজাইন করা দুর্লভ আসবাবপত্র রয়েছে।

লেনি ক্রাভিটজ তাঁর শৈশব এবং বেড়ে ওঠার সময়ে ম্যানহাটনের আপার ইস্ট সাইডে তাঁর বাবা-মায়ের অ্যাপার্টমেন্ট এবং ব্রুকলিনের বেডফোর্ড-স্টাইভেসান্টে তাঁর ঠাকুরদার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।

এই দুটি ভিন্ন জগতের সংস্কৃতি তাঁর রুচিবোধকে প্রভাবিত করেছে।

তাঁর ভাষায়, এই বাড়ির নান্দনিকতা হল “আবেগপূর্ণ আভিজাত্য”, যা আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি মার্জিতও বটে।

এখানে আফ্রিকান, ইউরোপীয় এবং আফ্রোফিউচারিজম-এর মিশেল রয়েছে, যা মধ্য শতাব্দীর ডিজাইনগুলির সঙ্গে মিলে এক অসাধারণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

বাড়ির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তাঁর প্রয়াত ঠাকুরদা, আলবার্ট রকারের একটি প্রতিকৃতি।

এই ছবিটির প্রসঙ্গে লেনি ক্রাভিটজ বলেন, “আমার ঠাকুরদাই আমার অনুপ্রেরণা।

তিনি না থাকলে, আমি আজ এখানে থাকতাম না।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *