পৃথিবী দিবসের উদযাপন উপলক্ষে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ঘোষণা করেছে, তারা তাদের ‘আর্থ ডে’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি বিশেষ প্রতিযোগিতা শুরু করতে যাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি তার সঙ্গীসহ ১২ দিনের জন্য আন্টার্কটিকা ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
তবে, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কিছু বিশেষ শর্ত রয়েছে, যা বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন।
এই আকর্ষণীয় অফারে বিজয়ী পাবেন আন্টার্কটিকা যাওয়ার এবং ফিরে আসার জন্য বিমানের টিকিট, যা তাদের যাত্রাটিকে আরও আরামদায়ক করবে। ভ্রমণের সময়, বিজয়ী ও তার সঙ্গী খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতামূলক ভ্রমণে অংশ নিতে পারবেন, যেমন – কায়াকিং, বরফের কাছাকাছি নৌবিহার এবং বন্যপ্রাণী দেখা।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পরিবেশ ও প্রকৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও শিক্ষা প্রদান করবেন।
তবে, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অফারটি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য।
অর্থাৎ, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী, এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।
আগ্রহী ভ্রমণকারীরা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটে (natgeo.com) গিয়ে ১৫ই এপ্রিল থেকে ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে প্রতিদিন একবার তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারবেন।
এই ক্রুজটি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক রেজোলিউশন অথবা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এন্ডুরেন্স জাহাজে করে পরিচালনা করা হবে। জাহাজ দুটি পোলার ক্লাস ৫ মানের, যা বরফ আচ্ছাদিত অঞ্চলের কঠিন পরিস্থিতি সহজে মোকাবেলা করতে সক্ষম।
এই প্রতিযোগিতাটি মূলত ‘দি ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি’ এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের যৌথ উদ্যোগে ‘আওয়ার হোম’ নামক একটি প্রচারণার অংশ। এই প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীকে রক্ষা করা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে মানুষকে উৎসাহিত করা।
এই উপলক্ষে ডিজনি+ এ পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন বিশেষ কনটেন্টও প্রকাশ করা হবে, যেমন – ডিসনেচার এর “গার্ডিয়ান্স অফ দ্য গ্যালাপাগোস”।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকও তাদের বিশেষ প্রোগ্রাম ‘সিক্রেটস অফ দ্য পেনগুইনস’ (Secrets of the Penguins) প্রকাশ করবে।
যদিও এই প্রতিযোগিতাটি বিশেষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য, তবে এর মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি সহ পরিবেশগত সমস্যাগুলো বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয়। এই পরিস্থিতিতে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
তথ্য সূত্র: ট্র্যাভেল এন্ড লিজার