মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি এবং তার প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ ঘিরে বিতর্ক এখনও অব্যাহত। সম্প্রতি, বেশ কিছু ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে, যা নিয়ে আলোচনা চলছে।
প্রথমত, একজন ফেডারেল বিচারক ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এল সালভাদরে ভুলভাবে ফেরত পাঠানো এক ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত কর্মকর্তাদের ভর্ৎসনা করেন তিনি। জানা গেছে, উদ্বাস্তু কিলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে অবৈধভাবে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে, অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ১৯ বছর বয়সী ভেনেজুয়েলার নাগরিক মেরউইল গুতেরেসকে গ্রেপ্তার করে, যদিও জানা যায় যে, তিনি আসলে তাদের অভিযুক্ত ব্যক্তি নন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ-এর বক্তব্য। তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার দাবি জানিয়েছেন। এর আগে, তিনি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ইরানের সীমিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন।
স্বাস্থ্যখাত নিয়েও ট্রাম্প প্রশাসনের একটি পদক্ষেপের কথা জানা গেছে। মঙ্গলবার, ট্রাম্প তার স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রেসক্রিপশন ওষুধের দাম নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া, গ্রিনল্যান্ডকে নিজেদের অধীনে আনার বিষয়ে ট্রাম্পের আগ্রহ নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের সম্ভাব্য সুযোগে ট্রাম্পের বেশ কিছু বড় সহযোগী এবং বিনিয়োগকারী লাভবান হতে পারেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বই নিষিদ্ধকরণ নিয়েও বিতর্ক চলছে। পেন্টাগন স্কুলগুলোতে জাতি ও লিঙ্গ বিষয়ক বই নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১২ জন শিক্ষার্থী মামলা করেছেন।
অন্যান্য ঘটনার মধ্যে রয়েছে, রিপাবলিকান সিনেটর চাক গ্রাসলির একটি টাউন হল মিটিংয়ে সীমান্ত নিরাপত্তা এবং নির্বাসন নীতি নিয়ে জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ। এছাড়া, অ্যাপলের ভারতীয় সরবরাহকারীরা মার্চ মাসে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে, যা শুল্ক এড়ানোর একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান