বন্যা বিধ্বস্ত অঞ্চলে ১০ হাজার টিউলিপ: এক নতুন দিগন্ত!

ঢাকা, [তারিখ] – উত্তর ক্যারোলিনার একটি পার্কে, যেখানে গত বছর ঘূর্ণিঝড় হেলেনের তাণ্ডবে অনেক ক্ষতি হয়েছিল, সেখানে এখন ফুটেছে ১০,০০০ টি টিউলিপ ফুল। নেদারল্যান্ডস থেকে পাঠানো এই ফুলগুলো যেন দুর্যোগের শোক কাটিয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

খবরটি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাশভিলের কাছে সোয়ানানোয়া অঞ্চলের গ্রোভমেন্ট পার্কে এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এখন সবার নজর কাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়ে এলাকার অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, অনেকের কাজ চলে গিয়েছিল। সেই কঠিন সময়ে, নেদারল্যান্ডসের আনা পাওলোনা শহরের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ী মার্কো রোজেনব্রুক এগিয়ে আসেন।

তিনি ডাচগ্রোন নামের একটি ইউরোপীয় ফুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের সহায়তায় প্রায় ১০,০০০ টি টিউলিপ ফুলের চারা আনেন।

মার্কো রোজেনব্রুক জানান, “ফুলগুলো যেন আশার প্রতীক। একটি ফুলের চারা রোপণ করা মানেই আগামীকালের উপর বিশ্বাস রাখা।

এই ফুল রোপণের কাজটি স্থানীয়দের মধ্যে একতা ও ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করেছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা একত্রিত হয়ে ফুলের বাগান তৈরি করেছেন, যার মধ্যে একটি হৃদয়ের আকারের ফুলের বাগানও রয়েছে।

সোয়ানানোয়া গ্রাসরুটস অ্যালায়েন্স নামক একটি সংগঠন এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে, যা দুর্যোগের পর এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে।

এলাকার একজন বাসিন্দা ক্লার ডুপ্লেস ব্লু রিজ পাবলিক রেডিওকে বলেন, “সোয়ানানোয়ায় বসবাস করা যেন দুটি ভিন্ন জগতে থাকার মতো। একদিকে ধ্বংসের চিহ্ন, আর অন্যদিকে এই ফুলগুলো, সুন্দর করে সাজানো পাথর—এগুলো যেন আমাদের ঘরে ফেরার অনুভূতি এনে দেয়।

শুধু সোয়ানানোয়াই নয়, অ্যাশভিলের আশেপাশের এলাকাতেও বসন্তের এই সময়ে নতুন করে জীবন ফিরে আসার আভাস দেখা যাচ্ছে। সেখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে খুলছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করতে সাহায্য করবে।

ব্লু রিজ পার্কওয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে এবং পিসগাহ ন্যাশনাল ফরেস্টের শত শত মাইল পথ ধরে হেঁটে প্রকৃতির কাছাকাছি আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে পর্যটকদের জন্য।

দুর্যোগের পরে এমন ফুল ফোটানোর উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এটি শুধু একটি এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, বরং সেখানকার মানুষের মনে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *