ছেলের অটিজম: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বার্তায় জ্যাক টেইলর!

বিখ্যাত টেলিভিশন তারকা জ্যাক টেইলর এবং ব্রিটানি কার্টরাইটের ছেলে ক্রুজ মাইকেল কউচির জীবনযাত্রা এখন অনেকের কাছেই পরিচিত। ২০২১ সালের ১২ই এপ্রিল লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্ম হয় ক্রুজের।

বর্তমানে তিনি অটিজম আক্রান্ত এবং মা-বাবার ভালোবাসায় বেড়ে উঠছেন। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণের খবরও পাওয়া গেছে।

জ্যাক এবং ব্রিটানির সম্পর্কের শুরুটা হয় ২০১৪ সালে। এরপর ২০১৯ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

বিয়ের পর তাদের জীবনে আসে এই ছোট্ট অতিথি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তারা তাদের সন্তানের আগমনের খবর জানান।

২০২৫ সালে ক্রুজের অটিজম ধরা পড়ে। এই সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর।

এর আগে দুই বছর বয়স থেকে তার কথা বলার সমস্যা দেখা দেয়, যা ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। বর্তমানে তিনি খুব কম কথা বলেন।

মা ব্রিটানি জানান, ক্রুজের বেড়ে ওঠার জন্য তারা একটি বিশেষ ঘর তৈরি করেছেন, যেখানে তার সংবেদী ইন্দ্রিয়গুলোকে সক্রিয় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও, নিয়মিতভাবে স্পিচ এবং অকুপেশনাল থেরাপি চলছে।

ক্রুজের মা-বাবা দুজনেই তাদের সন্তানের প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। মা ব্রিটানি বলেছেন, তিনি অনুভব করেন ক্রুজের মা হওয়ার জন্যই যেন তার জন্ম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয় আমিই ওর ভালো অর্ধেক। ও আমার খেলার সাথী। সে আমার কাছে সবকিছু। যদিও সে কথা বলতে পারে না, আমি জানি সে কি চায়, তার কি প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে একটা গভীর বোঝাপড়া রয়েছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”

বাবা জ্যাক টেইলরও তার ছেলের প্রতি ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি জানান, ক্রুজ তার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।

এমনকি মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেতেও তিনি ছেলেকে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে দেখেন। তিনি বলেন, “আমার এমন সুন্দর ছেলে আছে, যা একজন মানুষ হিসেবে পাওয়া সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ।”

ক্রুজের নামকরণের পেছনেও রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। “ক্রুজ” শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ শব্দ থেকে, যার অর্থ “ক্রস” বা “ক্রুশ”।

ব্রিটানির পরিবার ধর্মপ্রাণ হওয়ায় এই নামটি বেছে নেওয়া হয়। এছাড়া, ক্রুজের নামের “মাইকেল” অংশটি জ্যাকের বাবার প্রতি সম্মান জানিয়ে রাখা হয়েছে।

পিতা-মাতার মতোই ক্রুজও এখন একজন টেলিভিশন তারকা। ‘দি ভ্যালি’ নামের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গেছে।

মা ব্রিটানি জানিয়েছেন, প্রথম দিকে সে কিছুটা দ্বিধা বোধ করলেও, পরে সে এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়।

ক্রুজের মা ব্রিটানি অটিজম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে চান। তিনি মনে করেন, অনেক সময় অটিজম আক্রান্ত শিশুদের সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়।

তিনি বলেন, “অনেকে মনে করে, তারা হয়তো সবকিছু বোঝে না বা তাদের বুদ্ধি কম। কিন্তু এটা ঠিক নয়। ক্রুজ খুবই বুদ্ধিমান এবং সে অনেক কিছুই করতে পারে।

আমি চাই, মানুষ বুঝুক, অটিজম আক্রান্ত শিশুরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং সুন্দরভাবে জগৎটাকে দেখে।”

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *