মহাকাশ ভ্রমণের খরচ এবং পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে বিতর্কের মধ্যে, সম্প্রতি ব্লু অরিজিন নামক একটি কোম্পানির মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। এই ফ্লাইটে প্রথমবার সম্পূর্ণ নারী ক্রু অংশ নেয়, যার মধ্যে ছিলেন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব গেইল কিং।
কিন্তু এই ভ্রমণ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন।
সমালোচকদের মতে, মহাকাশ ভ্রমণের উচ্চ খরচ এবং এর ফলে পৃথিবীর পরিবেশের ওপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এই বিষয়ে গেইল কিং মুখ খুলেছেন।
তিনি বলেন মহাকাশ যাত্রা পৃথিবীর থেকে কোনো কিছু কেড়ে নেয় না, বরং এটি পৃথিবীকে আরও উন্নত করার একটি প্রয়াস।
ব্লু অরিজিনের লক্ষ্য হল, পৃথিবীর বর্জ্যকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া এবং আমাদের গ্রহকে আরও পরিষ্কার করা। কিং আরও উল্লেখ করেন, এই ধরনের উদ্যোগ তরুণ নারী ও মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।
ব্লু অরিজিনের এই ফ্লাইটে গেইল কিং ছাড়াও আরও অনেকে ছিলেন, যেমন – কেটি পেরি, রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বোয়ে, বায়োঅ্যাস্ট্রোনটিক্স গবেষণা বিজ্ঞানী আমান্ডা এনগুয়েন, সমাজসেবী লরেন সানচেজ এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান ফ্লিন।
এই ফ্লাইটটি প্রায় ১১ মিনিট স্থায়ী ছিল। ব্লু অরিজিন কোম্পানিটি তৈরি করেছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।
তবে, এই ভ্রমণের সমালোচনা করেছেন অনেকে। অভিনেত্রী অলিভিয়া মান এবং এমিলি রাতাজকোভস্কি তাঁদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন।
তাঁদের মতে, এত বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে মহাকাশে যাওয়ার বদলে সেই সম্পদ পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষার কাজে লাগানো যেত।
ব্লু অরিজিনের এই মহাকাশ ভ্রমণের টিকিটের দাম অনেক বেশি। জানা যায়, একটি সিট বুক করার জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জমা দিতে হয়। এমনকি, একবার একটি সিট নিলামে ২৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, অনেকে প্রশ্ন তুলছেন যে, এই ধরনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মহাকাশ ভ্রমণের ধারণা কতটা যুক্তিযুক্ত। তাঁদের মতে, এই ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলির পরিবর্তে, পৃথিবীর পরিবেশ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নতির জন্য আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
জেফ বেজোস এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
তথ্যসূত্র: পিপল