রায়ান কুগলারের নতুন সিনেমা: ব্লুজ, ভ্যাম্পায়ার ও মিসিসিপি ডেল্টার এক অন্য গল্প!

“ব্ল্যাক প্যান্থার” খ্যাত নির্মাতা রায়ান কুগলার-এর নতুন ছবি “সিনার্স”। এই ছবিতে ব্লুজ সঙ্গীত, ভ্যাম্পায়ার, এবং গ্যাংস্টারদের এক ভিন্ন স্বাদের গল্প নিয়ে আসা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে দর্শক ও সমালোচকদের নজর কেড়েছে।

কুগলারের প্রথম মৌলিক চিত্রনাট্যে তৈরি এই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

সিনেমার প্রেক্ষাপট ১৯৩২ সালের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের ক্লার্কসডেল শহর। এখানে একটি জুক জয়েন্ট (আফ্রিকা-আমেরিকান সংস্কৃতির একটি অংশ, যেখানে গান-বাজনা ও সামাজিকতা চলে) খোলার প্রস্তুতি চলছে, ঠিক তখনই ভ্যাম্পায়ারদের একটি দল তাদের উপর আক্রমণ করে।

সিনেমার গল্পটি অ্যাকশন, রহস্য, এবং ভালোবাসার এক মিশ্রণ।

ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন মাইকেল বি. জর্ডান।

তিনি যমজ দুই ভাই স্মোক এবং স্ট্যাক-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

কুগলারের আগের ছবিগুলোতেও জর্ডান এর অভিনয় দর্শক বেশ পছন্দ করেছেন।

এই ছবিতে যমজ চরিত্রে অভিনয় করাটা বেশ কঠিন ছিল, তবে এর ফল দারুণ হয়েছে।

স্মোক চরিত্রটি কিছুটা গম্ভীর এবং অতীতের স্মৃতিতে কাতর, অন্যদিকে স্ট্যাক-এর চরিত্রে রয়েছে হালকা মেজাজ ও হাসিখুশি ভাব।

ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন হ্যালি স্টেইনফেল্ড, যিনি স্ট্যাকের প্রাক্তন প্রেমিকা মেরির চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এছাড়াও, উনমি মোসাকু, যিনি স্মোকের ভালোবাসার নারী অ্যানির চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

ছবিতে ব্লুজ সঙ্গীতের প্রতি কুগলারের বিশেষ ভালোবাসার ছাপ রয়েছে, যা গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ডেল্টা ব্লুজ-এর প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই সিনেমাটি সঙ্গীতের জগৎ এবং সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল চিত্র তুলে ধরে।

কুগলার এই ছবিতে তাঁর পরিবারের শিকড়ের কথা বলেছেন।

তাঁর মায়ের দিকের পিতামহ মিসিসিপি থেকে এসে ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেন।

কুগলারের কাকা জেমস-এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, যিনি তাঁকে ব্লুজ সঙ্গীতের সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন।

“সিনার্স”-এর চিত্রগ্রহণ বিশাল পরিসরে করা হয়েছে, যা সিনেমার গল্পকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।

ছবিতে নতুন মুখ হিসেবে দেখা যাবে ১৯ বছর বয়সী মাইলস ক্যাটনকে।

তিনি ব্লুজ সঙ্গীতশিল্পী স্যামি’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

ডেলরয় লিন্ডোকে দেখা যাবে ডেল্টা স্লিম নামের একটি চরিত্রে, যিনি স্যামিকে ভবিষ্যতের শিল্পী হিসেবে দেখেন।

“সিনার্স” ছবিতে অভিনেতা ও কলাকুশলীদের মধ্যে এক গভীর বোঝাপড়া ছিল, যা সিনেমার কাজে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে।

সিনেমার চিত্রনাট্যকার রুথ ই. কার্টার, প্রোডাকশন ডিজাইনার হান্না বিচলার এবং সিনেমাটোগ্রাফার অটাম ডুরাল্ড আর্কাপাও সহ কুগলারের পুরনো সহযোগীরা এই ছবিতে কাজ করেছেন।

সব মিলিয়ে, “সিনার্স” শুধু একটি সিনেমা নয়, বরং রায়ান কুগলারের সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এটি দর্শকদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে, যেখানে ব্লুজ, ভ্যাম্পায়ার, এবং গ্যাংস্টারদের এক ভিন্ন স্বাদের গল্প রয়েছে।

তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *