ফরাসি কারাগারে হামলা, আতঙ্কে কর্তৃপক্ষ
ফ্রান্সের বিভিন্ন কারাগারে সম্প্রতি দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় কারাগারের কর্মকর্তাদের গাড়ি ও ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
দেশটির বিচারমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিনে টারাসকন শহরের একটি কারাগারে তিনটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। প্যারিসের পূর্বে অবস্থিত মো শহরের একটি ভবনেও আগুন লাগে, যেখানে একজন কারারক্ষী কাজ করেন।
এছাড়াও, দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত আইক্স-লুইনেস শহরের এক কারারক্ষীর গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ফরাসি কর্তৃপক্ষের ধারণা, এর পেছনে মাদক চক্রের হাত থাকতে পারে।
তারা কর্মকর্তাদের ভয় দেখিয়ে নিজেদের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালাতে চাইছে।
বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। সরকার কোনোভাবেই তাদের কাছে নতি স্বীকার করবে না।
যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
হামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে ন্যাশনাল অ্যান্টি-টেররিজম প্রসিকিউটর’স অফিস (PNAT)। ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা DGSI-এর কর্মকর্তারাও তদন্তে সহায়তা করছেন।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো দেশের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে কোকেনের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় মাদক বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এর ফলস্বরূপ, ফ্রান্সে মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধ বাড়ছে।
মার্সেইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে মাদক ব্যবসার বিস্তার ঘটেছে এবং ছোট শহরগুলোতেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
হামলার স্থানগুলোতে “DDPF” লেখা গ্রাফিতি পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত “ফরাসি বন্দীদের অধিকার” এর সংক্ষিপ্ত রূপ। কিছু পুলিশ সূত্র ধারণা করছে, এটি কোনো বামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীর কাজ হতে পারে।
তবে বিচারমন্ত্রী দারমানিন জানিয়েছেন, হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে, এর পেছনে সুসংগঠিত কোনো অপরাধ চক্র জড়িত। তিনি বলেন সরকার মাদক চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তথ্য সূত্র: CNN