হ্যারি ও ইউজেনির সম্পর্ক: ভাঙন নাকি ভালোবাসার গভীরতা?

প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্সেস ইউজেনির মধ্যে ফাটল? গুজবকে নস্যাৎ করলেন ঘনিষ্ঠ সূত্র

সম্প্রতি ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি এবং প্রিন্সেস ইউজেনির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে কিছু গুজব শোনা যাচ্ছিল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয় যে, তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছে।

তবে ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গেছে, এই খবর ভিত্তিহীন। তাঁরা সবসময় একে অপরের খুব কাছের ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন একটি সূত্র। তিনি জানান, ডিউক অফ সাসেক্স (প্রিন্স হ্যারি) এবং প্রিন্সেস ইউজেনির মধ্যে সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তাঁদের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল।

প্রকৃতপক্ষে, হ্যারি ও ইউজেনির মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া হ্যারি ও মেগানের (হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী) একটি তথ্যচিত্রেও প্রিন্সেস ইউজেনিকে দেখা গিয়েছিল।

এর থেকেই তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা স্পষ্ট হয়।

২০১৬ সালের হ্যালোইন অনুষ্ঠানে হ্যারি, মেগান, ইউজেনির সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী জ্যাক ব্রুকসব্যাঙ্কও। এছাড়াও, ২০২২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ইনগেলউডে অনুষ্ঠিত সুপার বোল-এও তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর হ্যারি ও মেগান আমেরিকায় বসবাস শুরু করেন।

হ্যারি ও ইউজেনির ঘনিষ্ঠতার আরও একটি প্রমাণ পাওয়া যায় নেটফ্লিক্সের একটি ভিডিওতে। সেখানে তাঁদের একসঙ্গে সাইকেল চালাতে দেখা যায়। এছাড়া প্রিন্স আর্চির (হ্যারি ও মেগানের পুত্র) সঙ্গে ইউজেনির জলকেলির একটি মিষ্টি মুহূর্তও ক্যামেরাবন্দী হয়।

২০১৮ সালে প্রিন্সেস ইউজেনির বিয়ে হয় জ্যাক ব্রুকসব্যাঙ্কের সঙ্গে। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে—অগাস্ট এবং আর্নেস্ট।

অন্যদিকে, হ্যারি ও মেগান দম্পতির দুই সন্তান—আর্চি ও লিলিবেট। সন্তানদের বয়স প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় তাঁদের মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

জানা যায়, ইউজেনির স্বামী জ্যাক বর্তমানে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। কাজের সূত্রে তাঁরা যুক্তরাজ্য এবং পর্তুগালে বসবাস করেন।

হ্যারি ও মেগানও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে পর্তুগালে গিয়েছিলেন। এছাড়া, শোনা যাচ্ছে, তাঁরা পর্তুগালে একটি অবকাশযাপন কেন্দ্রও কিনেছেন, যা ইউরোপে থাকাকালীন ইউজেনির পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুবিধা করে দেবে।

হ্যারি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় তাঁর জীবন উপভোগ করছেন। সেখানে তিনি সার্ফিং শেখার পাশাপাশি মেগান ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি ইনভিক্টাস গেমস (সশস্ত্র বাহিনীর আহত ও অসুস্থ সদস্যদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা) এবং তাঁদের আর্চেওয়েল ফাউন্ডেশনের (একটি অলাভজনক সংস্থা) মাধ্যমে জনকল্যাণমূলক কাজেও যুক্ত রয়েছেন।

তবে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্ক আগের মতোই রয়েছে। বিশেষ করে, তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। যুক্তরাজ্যে তাঁর নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি লড়াইয়ের কারণও এটি।

তিনি চান, তাঁর সন্তানরা যেন তাঁদের ব্রিটিশ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়।

সম্প্রতি, হ্যারি যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সরকারি খরচে তাঁর নিরাপত্তা পুনর্বহাল করার জন্য একটি শুনানিতে অংশ নেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *