রূপান্তরকামী অভিনেত্রী এবং ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতা ডিলান মালভানি-র সঙ্গে সৌন্দর্য সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান “লাশ”-এর এক নতুন উদ্যোগ বর্তমানে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাদের যৌথ প্রয়াসে তৈরি হয়েছে “লেট ব্লুমার” নামের একটি বাথ বোম্ব, যা শুধু একটি স্নানের উপকরণই নয়, বরং সমাজে পরিবর্তনের বার্তাও বহন করে।
ডিলান মালভানি, যিনি “ডেজ অফ গার্লহুড” নামে তাঁর টিকটক সিরিজের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছেন, এই বাথ বোম্ব তৈরির পেছনের গল্পটি জানিয়েছেন। কৈশোরে তিনি লশে কাজ করতেন, এবং সেই সময়টিকে তিনি একটি “নিরাপদ আশ্রয়” হিসেবে বর্ণনা করেন।
তাঁর মতে, “লাশ”-এ কাজ করার সময় তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারতেন, যেখানে তাঁর কুইয়ার (queer) পরিচয় এবং নারীত্ব কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
“লেট ব্লুমার” বাথ বোম্ব-এর ধারণাটি আসে মালভানির একটি একক পরিবেশনা থেকে, যেখানে তিনি লশে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছিলেন। তাঁর এজেন্ট এই অনুষ্ঠানটি দেখার পর “লাশ”-এর সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন।
ফলস্বরূপ, মালভানির নতুন স্মৃতিকথা “পেপার ডল: নোটস ফ্রম আ লেট ব্লুমার”-এর প্রকাশ উপলক্ষে বাজারে আসে এই বাথ বোম্বটি। গোলাপ ও সাইট্রাস ফলের সুবাসযুক্ত এই বাথ বোম্ব-এর প্রতিটি বিক্রয়মূল্যের ৭৫ শতাংশ (কর বাদে) ট্রান্স- led সংস্থাগুলোকে সহায়তা করবে।
মালভানি মনে করেন, এই উদ্যোগটি তাঁর নিজের এবং “লাশ”-এর একটি সুন্দর উপস্থাপনা। তিনি বলেন, “আমি খুবই খুশি যে এটা এমনভাবে তৈরি হয়েছে। এটা শুধু আমার নয়, বরং কোম্পানির এবং দেরিতে বিকশিত হওয়া মানুষের একটি প্রতিনিধিত্ব করে।”
এই বাথ বোম্ব তৈরি এবং এর মাধ্যমে ট্রান্স-led সংস্থাগুলোকে সহায়তা করার বিষয়টি বাংলাদেশেও ইতিবাচকভাবে দেখা যেতে পারে। কারণ, এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের ধারণা দেয়, যেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি সংবেদনশীলতা ও সমর্থন থাকে।
এছাড়াও, এই ধরনের উদ্যোগ কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মালভানি তাঁর অনুসারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমি এমন একদল মানুষের দেখা পেয়েছি, যারা আমাকে বোঝে।” তিনি মনে করেন, তাঁর ভক্ত এবং “লাশ”-এর গ্রাহকদের মধ্যে একটি মিল রয়েছে, যা এই ধরনের সহযোগিতা আরও দৃঢ় করে তোলে।
বর্তমানে, “লেট ব্লুমার” বাথ বোম্ব “লাশ”-এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: পিপল