মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, রাশিয়া, চীন এবং ইরানের মতো দেশগুলো থেকে আসা ভুল তথ্য এবং অপপ্রচার মোকাবিলায় গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর বন্ধ করে দিয়েছে।
দপ্তরটির নাম ছিল গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টার। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানান, দপ্তরটি তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য স্থানে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করার চেষ্টা করছিল।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি হিসেবে রুবিও উল্লেখ করেন, “প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব হলো আমেরিকানদের মুক্তভাবে কথা বলার অধিকার রক্ষা করা।” তিনি আরও বলেন, এই দপ্তরটি “তাদের সেবা করার কথা, অথচ তারা আমেরিকানদের কণ্ঠস্বরকে দমন ও নীরব করার চেষ্টা করছিল।”
রুবিও-র মতে, এটি সেইসব নীতির পরিপন্থী যা “আমাদের সমর্থন করা উচিত।”
তবে, এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন অনেকে। বিশেষ করে, এই দপ্তর মিডিয়া এবং অনলাইনে প্রকাশিত এমন কিছু সংবাদ চিহ্নিত করত যা তাদের মতে পক্ষপাতদুষ্ট বা মিথ্যা ছিল।
এমনকি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কিত ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তারা কিছু মার্কিন ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছিল।
এই বিষয়ে প্রাক্তন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক টুইট বার্তায় বলেন, “এটি একটি গভীর বিভ্রান্তিকর ও গুরুত্বহীন চিত্র, যা মূলত বিদেশি, বিশেষ করে রাশিয়ার অপপ্রচার শনাক্ত করার জন্য নিবেদিত একটি সংস্থার বিষয়ে তৈরি করা হয়েছে।”
আগে, এই কেন্দ্রের কাজকে সমর্থন জুগিয়েছিল মার্কিন কংগ্রেস এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের পূর্বতন নেতৃত্ব।
এই ঘটনার মাধ্যমে, ভুল তথ্য এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশেও রাজনৈতিক, স্বাস্থ্য বিষয়ক (যেমন কোভিড-১৯) এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রায়ই ভুল তথ্যের বিস্তার দেখা যায়, যা জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করে।
এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলায় তথ্য যাচাই এবং সঠিক তথ্যের প্রচার অত্যন্ত জরুরি।
তথ্য সূত্র: Associated Press