প্রকাশ্যে মুখ খুললেন গিয়া: বেথেনি ফ্রাঙ্কেল-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ!

যুক্তরাষ্ট্রের একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো তারকা, টেরিসা জুডিস-এর পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার জেরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই বিতর্কে জড়িয়েছেন টেরিসার মেয়ে গিয়া জুডিস এবং রিয়েলিটি তারকা বেথেনি ফ্র্যাঙ্কেল।

জানা গেছে, টেরিসা ও তাঁর স্বামী লুইস রুয়েলসের প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ৩২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বেশি) কর বকেয়া রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বেথেনি ফ্র্যাঙ্কেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করলে গিয়া জুডিস এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। গিয়ার মতে, বেথেনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।

গিয়ার ভাষ্যমতে, তিনি সবসময় তাঁর পরিবারের পাশে থাকবেন এবং তাঁদের সম্মান রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, “আমি আমার পরিবারের পক্ষ নিয়েছি এবং আমি সবসময় তা-ই করব।

আমি মনে করি, বিষয়টি নিয়ে আর বেশি কথা না বলাই ভালো। কারণ, আগামী সপ্তাহে হয়তো নতুন কিছু সামনে আসবে। আমার মনে হয়, তাঁরও (বেথেনি) এই বিষয়ে চুপ থাকা উচিত ছিল।

আমার আরও তিনজন ছোট বোন আছে এবং আমি চাই না, তাঁরাও এসব বিষয়ে জড়িয়ে পড়ুক।”

বেথেনি ফ্র্যাঙ্কেল এর আগে টেরিসা জুডিস ও লুইস রুয়েলসের বিয়ে-পূর্ব চুক্তি (prenup) না করার বিষয়েও সমালোচনা করেন।

এই প্রসঙ্গে গিয়া বলেন, তাঁর মনে হয়েছে বেথেনি তাঁকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছেন।

তিনি বলেন, “আসলে তিনি আমাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। আমি এমন অনেক কিছুই বলিনি, যা তিনি তাঁর মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন।

আমি কখনোই কাউকে আর্থিক পরামর্শ দেওয়ার মতো কথা বলিনি।”

গিয়া তাঁর পরিবারের প্রতি সমর্থন জানানোয় সহকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, “আমি বুঝি, আমাদের জীবন জনসাধারণের আলোচনার বিষয়। আমি একজন ব্যক্তি এবং নিজের জীবন সম্পর্কে অবগত।

তবে আমার পুরো পরিবার অত্যন্ত দায়িত্বশীল এবং আমরা সবাই মিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি সবসময় আমার পরিবারের পাশে থাকব, সেটা মানুষ পছন্দ করুক বা না করুক।”

বিতর্কের পরে, বেথেনি ফ্র্যাঙ্কেল একটি বিবৃতি দেন, যেখানে তিনি জানান, তাঁর নামে প্রচারিত কিছু বক্তব্য আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) তৈরি করেছে, যা তাঁর আসল কথা নয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *