আর্সেনালের ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে প্রবেশ, ইন্টার মিলানেরও জয়।
ফুটবলপ্রেমীদের জন্য বুধবারের রাতটা ছিল উত্তেজনায় ভরপুর। একদিকে রিয়াল মাদ্রিদের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে আর্সেনাল, অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ইন্টার মিলানও।
সেমিফাইনালের লাইনআপও চূড়ান্ত হয়ে গেছে, যেখানে পিএসজির মুখোমুখি হবে আর্সেনাল এবং বার্সেলোনার বিরুদ্ধে খেলবে ইন্টার মিলান। ফাইনালের টিকিট কার ভাগ্যে জোটে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
আর্সেনাল এবং পিএসজি—উভয় দলই এখনো পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতেনি। এবার তারা সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অবিচল। বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদের মতো হেভিওয়েটকে হারানোর পর গানারদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে আর্সেনালের জয়যাত্রা:
প্রথম লেগে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগে খেলতে নামে আর্সেনাল। তবে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের উত্থান নতুন কিছু নয়। তাই, কঠিন চ্যালেঞ্জ যে অপেক্ষা করছিল, তা ভালো করেই জানতেন আর্সেনালের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি পেলেও, স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন আর্সেনালের বুকায়ো সাকা।
এরপর খেলার ১৫ মিনিটের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদও পেনাল্টি পায়। কিলিয়ান এমবাপ্পে ডি-বক্সে পড়ে গেলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু ভিএআরের (VAR) সাহায্য নিয়ে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
খেলার ৬৭ মিনিটে সাকা তার আগের ভুলের মাশুল দেন। মিকেল আর্টেটার দল আক্রমণে উঠলে সাকা ১-on-১ পরিস্থিতিতে গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ারকে পরাস্ত করেন।
এরপর খেলার ফলাফলে যখন আর্সেনাল ৪-০ গোলে এগিয়ে, তখন যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল সবাই। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ টেকেনি।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গোল করে ব্যবধান কমান। তবে, শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের কপাল পোড়ে, যখন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি যোগ করা সময়ে গোল করে আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করেন।
দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে জিতে আর্সেনাল ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে।
ইন্টার মিলানের জয়:
অন্যদিকে, বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ইন্টার মিলান ৪-৩ ব্যবধানে জয়লাভ করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। প্রথম লেগে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল তারা।
দ্বিতীয় লেগে হ্যারি কেইন গোল করে বায়ার্নকে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু এর ঠিক ৬ মিনিটের মাথায় লাউতারো মার্তিনেজ এবং ৩ মিনিটের ব্যবধানে বেঞ্জামিন পাভার্ড গোল করে ইন্টার মিলানের জয় নিশ্চিত করেন।
এরপর এরিক ডায়ের গোলে বায়ার্ন মিউনিখ চেষ্টা করলেও, শেষ পর্যন্ত তারা পেরে উঠেনি।
বার্সেলোনার সেমিফাইনালে প্রবেশ:
এদিকে, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে গেলেও, বার্সেলোনা সেমিফাইনালে উঠেছে। হান্সি ফ্লিকের দল ১০ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন