অপ্রত্যাশিত: প্রিমিয়ার লিগের এই মৌসুমে আলো ছড়ানো ২০ তারকা!

শিরোনাম: অপ্রত্যাশিত উত্থান: এবারের প্রিমিয়ার লিগে আলো ছড়ানো অচেনা তারকারা

ফুটবল বিশ্বে প্রায়ই এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা দর্শকদের চমকে দেয়। প্রিমিয়ার লিগও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতি বছরই এখানে এমন কিছু খেলোয়াড় উঠে আসে, যাদের পারফরম্যান্স অপ্রত্যাশিতভাবে দলের সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই মৌসুমেও তেমন কিছু তারকার জন্ম হয়েছে, যারা হয়তো পরিচিত নামের ভিড়ে কিছুটা আড়ালে ছিলেন, কিন্তু মাঠের খেলায় রেখেছেন অসাধারণ অবদান।

আসুন, তাদের কয়েকজনের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আর্সেনাল: গ্যাব্রিয়েল জেসুস-এর ইনজুরির কারণে যখন দল স্ট্রাইকারের অভাব অনুভব করছিল, তখন মিকেল মেরিনো দলের জন্য ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন। দলের আক্রমণভাগে তার উপস্থিতি ছিল দারুণ কার্যকরী। এই মৌসুমে হ্যাটট্রিকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গোল করে তিনি সবার নজর কেড়েছেন।

অ্যাস্টন ভিলা: মাঝমাঠের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ইউরি টিলেমান্স। মাঝমাঠে তার দৃঢ়তা এবং গোলের সুযোগ তৈরি করার ক্ষমতা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ব্রেন্টফোর্ড: ডিফেন্ডার হিসেবে পরিচিত হলেও, এই মৌসুমে কেইন লুইস-পোর্টারকে লেফট-ব্যাক পজিশনে খেলিয়ে চমক দেখিয়েছেন কোচ। এই পজিশনেও তিনি ছিলেন দারুণ সফল।

ব্রাইটন: ব্রাইটনের তরুণ খেলোয়াড় জ্যাক হিনশেলউড দলের রক্ষণভাগে নির্ভরযোগ্য পারফর্ম করেছেন। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ফুল-ব্যাক হিসেবেও তিনি খেলেছেন এবং দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

বোর্নমাউথ: জাস্টিন ক্লুইভার্ট-এর আক্রমণভাগের পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো। দলের শীর্ষ গোলদাতা এবং অ্যাসিস্ট প্রদানকারীর তালিকায় তার নাম উপরের দিকে।

চেলসি: মার্ক কুকুরেলা এই মৌসুমে নিজের সেরাটা দিয়েছেন। লেফট-ব্যাক পজিশনে তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসার যোগ্য।

ক্রিস্টাল প্যালেস: সেন্টার-ব্যাক হিসেবে ক্রিস রিচার্ডস-এর দৃঢ়তা দলের রক্ষণকে দিয়েছে নতুন শক্তি। চেলসি থেকে ট্রাভোহ চালাবাহ-এর চলে যাওয়ার পর তিনি দলের রক্ষণভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

এভারটন: বেটো, যিনি শুরুতে খুব বেশি সুযোগ পাননি, ডমিনিক ক্যালভার্ট-লুইন-এর ইনজুরির কারণে প্রথম একাদশে সুযোগ পান এবং নিজেকে প্রমাণ করেন।

ফুলহ্যাম: মাঝমাঠে সাসা লুকিচ-এর লড়াই করার মানসিকতা এবং বল দখলের দক্ষতা দলের খেলায় এনেছে ভিন্নতা।

আইপ্সউইচ: ২১ বছর বয়সী লিয়াম ডেলাপ-এর পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আসা এই খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তনে আলো ছড়িয়েছেন।

লেস্টার সিটি: বিলল এল খানুস-এর পারফরম্যান্স হয়তো খুব উজ্জ্বল ছিল না, তবে দলের খারাপ সময়েও তিনি চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।

লিভারপুল: রায়ান গ্রাভেনবার্খ-এর আগ্রাসী মিডফিল্ডিং লিভারপুলের মাঝমাঠকে শক্তিশালী করেছে।

ম্যানচেস্টার সিটি: রড্রি-র ইনজুরির কারণে দলের মাঝমাঠে শূন্যতা পূরণে কোভাচিচ-এর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড: অভিজ্ঞ কাসেমিরো এখনো মাঠের খেলায় তার দক্ষতা দেখাচ্ছেন।

নিউক্যাসল: অ্যালেক্সান্ডার ইসাক এবং অ্যান্থনি গর্ডন-এর মতো তারকার পাশে জ্যাকব মারফির পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।

নটিংহ্যাম ফরেস্ট: নেকো উইলিয়ামস-এর রক্ষণভাগের দৃঢ়তা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

সাউদাম্পটন: তরুণ খেলোয়াড় মাতেউস ফার্নান্দেজ-এর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স সবার নজর কেড়েছে।

টটেনহ্যাম: তরুণ আর্চি গ্রে, যিনি রাইট-ব্যাক, সেন্টার-ব্যাক এবং হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে পারেন, দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

ওয়েস্ট হ্যাম: অ্যারন ওয়ান-বিসাকা-র আক্রমণাত্মক খেলা এবারের মৌসুমে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

উলভস: ম্যাট ডহার্টি-র রক্ষণভাগের দৃঢ়তা উলভসকে বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে।

প্রিমিয়ার লিগে প্রায়ই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। এই মৌসুমেও তেমন কিছু খেলোয়াড় তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। তাদের এই উত্থান ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

তথ্য সূত্র: who scored

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *