ক্লাব বিশ্বকাপ: খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য নিয়ে ফিফার সতর্কবার্তা!

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ সম্প্রসারণ নিয়ে মুখ খুললেন প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দিয়ে তিনি জানান, ফুটবল ক্যালেন্ডার প্রসারিত হওয়ার কারণে খেলোয়াড়দের উপর যেন অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখছে ফিফা।

সম্প্রতি গ্রীষ্মকালে খেলার yoğunতা বৃদ্ধি পাওয়ায় খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলোয়াড়দের সংগঠন।

ফিফার এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইনফান্তিনো বলেন, “আমরা সবসময়ই ফুটবল ক্যালেন্ডার এবং খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন। আমরা চাই খেলোয়াড়রা সেরা অবস্থায় থেকে তাদের সেরাটা দিক।”

তিনি আরও জানান, আর্সেন ওয়েঙ্গারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যারা খেলোয়াড়দের সুস্থতা এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করবে। ওয়েঙ্গার বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা প্রশিক্ষক এবং তিনি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছেন।

নতুন ক্লাব বিশ্বকাপটি আগামী ১৫ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে। এই টুর্নামেন্টে আগের ৭টি দলের পরিবর্তে এবার খেলবে ৩২টি দল।

এর মাধ্যমে ফুটবলপ্রেমীরা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের খেলা উপভোগ করতে পারবে। এই তালিকায় রয়েছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিওনেল মেসি, আর্লিং হালান্ড, রড্রি, জুড বেলিংহাম এবং হ্যারি কেইন-এর মতো তারকারা।

ইনফান্তিনো আরও উল্লেখ করেন, ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্বের সেরা ক্লাব দল কোনটি, তা নির্ধারণ করা।

তিনি উদাহরণস্বরূপ, সুপার বোল-এর কথা উল্লেখ করেন, যেখানে বিজয়ী দলকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ফিফা এই ক্লাব বিশ্বকাপের মাধ্যমে সেই একই স্বীকৃতি ক্লাব দলগুলোকে দিতে চায়।

ফিফা প্রেসিডেন্ট জানান, নতুন এই টুর্নামেন্টের ফাইনালসহ মোট ৬৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে বিশাল এক অঙ্ক দাঁড়ায়। তবে ফিফার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খেলোয়াড় ইউনিয়নগুলো তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

তারা ফিফার ক্যালেন্ডারকে অতিরিক্ত খেলোয়াড়-বান্ধব না হওয়ার অভিযোগ এনেছে এবং এর ফলে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

ফিফার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য এবং সুবিধার কথা মাথায় রেখে তারা সবকিছু বিবেচনা করছেন। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে এবং ক্লাব ফুটবলের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *