আলোচনার টেবিলে দুই ভিন্ন মেরুর নারী: ‘ওয়োক’ ধারণা নিয়ে ভিন্নমত, মিলও ছিল অনেক
সমাজ ও রাজনীতির নানা বিষয়ে মানুষের ভিন্ন মত থাকতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, ভিন্ন মতের মানুষগুলোও কিছু বিষয়ে একমত হন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটনের বাসিন্দা জোয়ানা এবং উইনচেস্টারের জেন-এর মধ্যে হওয়া কথোপকথন তেমন একটি উদাহরণ।
জোয়ানা একজন নলেজ ম্যানেজার, স্থানীয় রাজনৈতিক ইস্যুতে লেবার পার্টির প্রতি তাঁর ঝোঁক রয়েছে।
অন্যদিকে, জেন সম্পত্তি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, সাধারণত কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থক। তাঁদের মধ্যে পরিচয় হয় একটি ডিনার টেবিলে।
উইনচেস্টারের ‘দ্য ওল্ড ভাইন’ রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে আলাপচারিতা শুরু হয়।
আলোচনার শুরুতেই ‘ওয়োক’ ধারণা নিয়ে কথা হয়। জোয়ানা ও জেন দুজনেই মনে করেন, এই শব্দটি বর্তমানে অতিরিক্ত ব্যবহার করা হচ্ছে।
জোয়ানার মতে, যারা এই শব্দটি ব্যবহার করেন, তাঁরা সাধারণত নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করেন। তাঁর মতে, ‘ওয়োক’-এর আসল অর্থ ছিল বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
অন্যদিকে জেন মনে করেন, তাঁদের প্রজন্মের মধ্যে এই শব্দটি ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে এসেছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সিনেমা নির্মাণে শিল্পী নির্বাচন নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হয়।
জোয়ানার মতে, ভালো অভিনেতা হলে তাঁর গায়ের রং নিয়ে তাঁর কোনো আপত্তি নেই, চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারলেই হলো।
তবে জেন মনে করেন, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সিনেমা হলে সে সময়ের বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তুলতে শ্বেতাঙ্গ অভিনেতাদের বেশি সুযোগ দেওয়া উচিত।
তাঁদের আলোচনায় দ্বিতীয় আবাসনের ধারণাটিও আসে।
জেনের মতে, দ্বিতীয় আবাসন মানুষের ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ করে দেয়।
অন্যদিকে জোয়ানা বলেন, তাঁর বাবার বাড়ি সমুদ্রের কাছাকাছি হওয়ায় তিনি দেখেছেন, বছরের অধিকাংশ সময় সেখানে বাড়িগুলো খালি থাকে, যা স্থানীয় ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।
আলোচনার এক পর্যায়ে জেমস বন্ড চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, সেই বিষয়েও তাঁরা কথা বলেন।
তাঁরা দুজনেই এই বিষয়ে কিছু সংবাদপত্রের বাড়াবাড়ি নিয়ে হাসাহাসি করেন।
জেন মনে করেন, জেমস বন্ড চরিত্রে একজন এশীয় নারীকে নেওয়া যেতে পারে।
ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ ও জীবনযাত্রার ধরনে ভিন্নতা থাকলেও, জোয়ানা ও জেনের মধ্যে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়।
জোয়ানা জানান, ভবিষ্যতে তাঁদের দেখা হলে তিনি অবশ্যই কথা বলবেন।
জেনও জানান, তাঁরা হয়তো বন্ধু হবেন না, তবে দেখা হলে কথা বলবেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান