যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের প্রধানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘটনায় আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর দেশের অর্থনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
ফেডারেল রিজার্ভ, যা অনেকটা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্যাংকটির প্রধানের পদ থেকে কাউকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো একটি বিরল ঘটনা, যা সাধারণত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।
ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়, যাতে এটি রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভবত বর্তমান ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যানের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি একমত নন। যদিও এই বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই ধরনের মন্তব্য ফেডারেল রিজার্ভের ওপর জনগণের আস্থা কমাতে পারে এবং এর ফলে বাজারের অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই ধরনের মন্তব্য আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি স্বাভাবিক বিষয়, যেখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়ে থাকেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা আমেরিকার অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকটি যদি রাজনৈতিক চাপে নতি স্বীকার করে, তবে তা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং সুদের হার প্রভাবিত হতে পারে।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে, ফেডারেল রিজার্ভ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে, তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা তাদের নীতি অনুযায়ী কাজ করে যাবে এবং দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সঠিক পদক্ষেপ নেবে। বিষয়টি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা