সন্দেহ সত্যি! এনএফএল-এর চোখে ধুলো, শেইডিউর স্যান্ডার্স-ই বাজি?

শিরোনাম: প্রতিভাবান হলেও উপেক্ষিত? এনএফএল-এ শেইডুর স্যান্ডার্সের ভবিষ্যৎ কী?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার ফুটবল লীগ, এনএফএল-এর আসন্ন ড্রাফটে (খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়া) সকলের নজর এখন শেইডুর স্যান্ডার্সের দিকে। তিনি একজন অসাধারণ কোয়ার্টারব্যাক খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত।

খেলার মাঠে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও, অনেকের ধারণা, ড্রাফটে তাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। কেন এমনটা হচ্ছে, সেই বিষয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

শেইডুর স্যান্ডার্স, যিনি মূলত টেক্সাসের বাসিন্দা, তার খেলার ধরন এবং মাঠের নেতৃত্বের জন্য দ্রুত পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি শুধু একজন খেলোয়াড় নন, বরং সাবেক এনএফএল তারকা ডিওন স্যান্ডার্সের ছেলে হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে।

ডিওন একসময় ‘কোচ প্রাইম’ নামে পরিচিত ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি একজন স্বনামধন্য কোচ। বাবার এই পরিচয়ের কারণে অনেকেই মনে করেন, শেইডুরের খেলোয়াড়ি জীবনে সাফল্যের পেছনে পারিবারিক প্রভাবও কাজ করেছে।

গত কয়েক বছরে শেইডুর কলেজ ফুটবলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। তিনি প্রথমে জ্যাকসন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এবং পরে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলেছেন।

উভয় স্থানেই তার দল ভালো ফল করেছে। কলোরাডোতে তিনি দলের খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়িয়েছেন এবং দলকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার খেলার কৌশল, বল নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে।

তবে, ড্রাফটের আগে কিছু বিশেষজ্ঞের মধ্যে শেইডুরকে নিয়ে দ্বিধা দেখা যাচ্ছে। তাদের মতে, তিনি এখনো পেশাদার পর্যায়ে খেলার জন্য প্রস্তুত নন।

কেউ কেউ মনে করেন, চাপের মধ্যে তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আবার কারও কারও মতে, তার খেলোয়াড়ি জীবন পারিবারিক সুযোগ-সুবিধা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

অন্যদিকে, শেইডুরের সমর্থকেরা মনে করেন, এনএফএল দলগুলো সম্ভবত শেইডুরের প্রতিভা এবং সম্ভাবনাকে পুরোপুরি মূল্যায়ন করতে পারছে না। তাদের মতে, তার খেলার কৌশল, বুদ্ধিমত্তা এবং মাঠের নেতৃত্ব তাকে একজন সফল খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

বিশেষ করে খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তার পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

ড্রাফটে শেইডুরের স্থান নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, তিনি প্রথম সারিতে নির্বাচিত হতে পারেন, আবার অনেকের ধারণা, তিনি হয়তো প্রথম রাউন্ডের বাইরে চলে যাবেন।

পিটসবার্গ স্টিলার্স, নিউ অরলিন্স সেইন্টস এবং নিউ ইয়র্ক জায়ান্টস-এর মতো দলগুলো তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

বর্তমানে, বাংলাদেশে আমেরিকান ফুটবল খুব বেশি পরিচিত না হলেও, খেলাটির জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, শেইডুর স্যান্ডার্সের মতো একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের গল্প, যারা কিনা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজেদের প্রমাণ করতে চান, অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারে।

এখন দেখার বিষয়, এনএফএল-এর দলগুলো তার প্রতিভার কতটুকু মূল্যায়ন করে এবং কিভাবে তিনি তার ভবিষ্যৎ গড়ে তোলেন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *