বিমানে ওঠা নিয়ে এত ভয়! অবশেষে মুখ খুললেন জেনিফার অ্যানিস্টন

বিমানভীতি জয় করে কিভাবে ভ্রমণে স্বচ্ছন্দ হন জেনিফার অ্যানিস্টন?

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন, যিনি ‘ফ্রেন্ডস’ (Friends) টিভি সিরিজে র‍্যাচেল গ্রিন চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন, সম্প্রতি জানিয়েছেন তার ভ্রমণের কিছু গোপন কথা।

বিমান ভ্রমণের সময় উদ্বেগকে জয় করতে এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলতে তিনি কিছু কৌশল অবলম্বন করেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিমান ভ্রমণের সময় এক ধরনের উদ্বেগে ভুগতেন এই অভিনেত্রী।

এর থেকে মুক্তি পেতে তিনি সম্প্রতি সম্মোহনবিদ্যার সাহায্য নিয়েছেন।

আগে বিমানে ওঠার সময় ডান হাতে বিমানের বাইরের অংশে স্পর্শ করতেন এবং ডান পা দিয়ে বিমানে প্রবেশ করতেন।

এখন তিনি এই ধরনের কুসংস্কার থেকে নিজেকে মুক্ত করেছেন।

ভ্রমণের সময় দীর্ঘ বিমানযাত্রা উপভোগ করার জন্য জেনিফার শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করেন এবং ধ্যান করেন।

তিনি জানান, ভ্রমণের সময় পছন্দের একটি ধ্যান পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভ্রমণ সহজ হয়ে যায়।

এছাড়াও, ভ্রমণের সময় তিনি কিছুক্ষণ পরপর উঠে হাঁটাচলা করেন এবং হালকা স্ট্রেচিং করেন, যা তাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

জেনিফার অ্যানিস্টন জানান, ভ্রমণের সময় তিনি অতিরিক্ত জিনিসপত্র নেওয়ার প্রবণতা থেকে মুক্তি পেতে চেষ্টা করছেন।

তিনি সবসময় চেষ্টা করেন কম জিনিস নিয়ে ভ্রমণ করতে।

তার মতে, এতে ভ্রমণের সময় অনেক সুবিধা হয়।

বন্ধুদের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখেন, যা তাদের উপকারে আসে।

জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য তিনি বিশেষ ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করেন, যা ভ্রমণের সময় খুবই কাজে লাগে।

প্রিয় গন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে জেনিফার জানান, তিনি সাদা বালুকাবেলা আর নীল জলরাশির আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকতে অবকাশ কাটাতে ভালোবাসেন।

কাজের সূত্রে তিনি কাইয়াই এবং লেক কোমোতেও গিয়েছেন, যা তার খুব পছন্দের জায়গা।

এছাড়া, প্যারিস এবং মালদ্বীপ-এর মতো সুন্দর শহরগুলোতে ঘুরে বেড়াতে তার ভালো লাগে।

নিজের ফিটনেস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জেনিফার জানান, ভ্রমণের সময় শরীরচর্চা করার জন্য তিনি ‘পিভলভ’ (Pvolve) নামক একটি ফিটনেস পদ্ধতির ওপর নির্ভর করেন।

এই পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ে শরীরের বিভিন্ন অংশের জন্য ব্যায়াম করা যায়।

জেনিফার মনে করেন, ভ্রমণের সময় নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি।

ভ্রমণ সম্পর্কে জেনিফারের ধারণা, “ভ্রমণ আমাদের বাইরের জগৎকে দেখতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন সংস্কৃতি ও মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, ভিন্ন ধরনের খাবার চেখে দেখা—এসবই আমাদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে।”

তথ্যসূত্র: ট্রাভেল + লিজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *