আশ্চর্যজনক! এবার আকাশপথে, বিমানবন্দরে পৌঁছানো আরও সহজ!

ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থা: আকাশে উড়ন্ত ট্যাক্সি, সময় বাঁচাবে কয়েকগুণ।

পরিবহন ব্যবস্থার জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথে, যেখানে আকাশ পথে ট্যাক্সি পরিষেবা চালু হতে চলেছে।

‘জবি এভিয়েশন’ নামক একটি বৈদ্যুতিক বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘উবার’ এবং ‘ডেল্টা’র সঙ্গে যৌথভাবে এই অত্যাধুনিক পরিষেবা নিয়ে কাজ করছে।

খুব শীঘ্রই যাত্রীরা এই উড়ন্ত ট্যাক্সিগুলির মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, বিশেষ করে বিমানবন্দরগুলিতে দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে।

সংস্থা সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুবাইয়ে এই পরিষেবাটি সবার প্রথমে চালু হতে পারে, সম্ভবত এই বছর থেকেই।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) -এর অনুমোদন পাওয়া গেলে, আমেরিকাতেও এই পরিষেবা চালু করা হবে।

এই উড়ন্ত ট্যাক্সিগুলির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক।

ফলে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনাও কম।

উদাহরণস্বরূপ, ম্যানহাটন থেকে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (জেএফকে) যেতে সাধারণত যেখানে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে এই উড়ন্ত ট্যাক্সিতে সময় লাগবে মাত্র ৭ মিনিট।

লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্র থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এলএএক্স) যেতে সময় লাগবে ৮ মিনিট।

যা বর্তমানের তুলনায় অনেক কম।

ডেল্টা তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘ডেল্টা কনসর্জে’-এর মাধ্যমে এই উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা যুক্ত করতে চলেছে।

এর ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই বিমানবন্দর পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য এই ট্যাক্সি বুক করতে পারবেন।

এছাড়াও, উবারের সঙ্গে চুক্তির ফলে, খুব শীঘ্রই তাদের অ্যাপ ব্যবহার করেও এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।

জবি এভিয়েশনের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার, এরিক অ্যালিসন জানিয়েছেন, এই উড়ন্ত ট্যাক্সির ভাড়া ‘উবার ব্ল্যাক’-এর কাছাকাছি হতে পারে।

তবে, যেহেতু এটি বিদ্যুচ্চালিত, তাই এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচও তুলনামূলকভাবে কম হবে।

বর্তমানে, উন্নত দেশগুলোতে পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে নতুন নতুন গবেষণা চলছে।

ভবিষ্যতে হয়তো আমরাও এমন উড়ন্ত ট্যাক্সির সুবিধা পাবো।

যদিও বাংলাদেশে এখনই এর সম্ভাবনা নেই, তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, তা বলাই বাহুল্য।

তথ্য সূত্র: Travel and Leisure

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *