ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলার ঘটনায় দুইজন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (উল্লেখযোগ্য তারিখ) তারিখে, টল্লাহাসিতে অবস্থিত ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (এফএসইউ) এই ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলাকারী ২০ বছর বয়সী ফিনিক্স ইকনর নামের এক ব্যক্তি, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। তিনি স্থানীয় শেরিফের একজন ডেপুটি’র ছেলে এবং তার মায়ের বন্দুক ব্যবহার করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে কোনো শিক্ষার্থী বা পুলিশ সদস্য নেই।
হামলার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে জানা গেছে, দুপুরের খাবারের সময় ছাত্র ইউনিয়নের বাইরে এই ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দে ভীত হয়ে ছাত্র ও শিক্ষকরা একটি বোলিংয়ের গলি ও একটি মালবাহী লিফটের ভেতরে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় শেরিফ ওয়াল্ট ম্যাকনিল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি শেরিফের অফিসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”
ঘটনার পরপরই জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আহতদের টল্লাহাসি মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ছাত্রদের আতঙ্কিত অবস্থায় দেখা যায়।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এক বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং রাজ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই ঘটনার বিষয়ে অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা নতুন নয়। দেশটির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, যা দেশটির বন্দুক আইনের দুর্বলতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান