আকাশপথে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, বেলিজ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ছুরি হাতে এক আমেরিকান নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ১৭ই এপ্রিল, মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজের আকাশে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ৪9 বছর বয়সী আকিনিয়েলা সাওয়া টেলর, নামের ওই ব্যক্তি একটি ছোট বিমান ছিনতাই করার চেষ্টা করেন। বিমানটি কোরোজাল থেকে সান পেদ্রোর দিকে যাচ্ছিল। জানা গেছে, টেক-অফের আগে আকিনিয়েলা বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বিমানের আরও জ্বালানি চেয়েছিলেন, সম্ভবত বেলিজ ত্যাগ করার উদ্দেশ্যে।
আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পর, আকিনিয়েলা বিমানের কয়েকজন যাত্রীকে ছুরিকাঘাত করেন। আহতদের মধ্যে ছিলেন যাত্রী ফিটজেরাল্ড ব্রাউন এবং জাইর কাসটানেদা, এছাড়াও বিমানের পাইলট হাওয়েল গ্র্যাঞ্জও ছুরিকাহত হন। এই ঘটনার পর, বিমানের ভিতরে থাকা লাইসেন্সপ্রাপ্ত এক যাত্রী আত্মরক্ষার্থে আকিনিয়েলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
আহত পাইলট এবং যাত্রীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। যদিও আকিনিয়েলাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। আহতদের চিকিৎসা চলছে এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, আকিনিয়েলা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে চেয়েছিলেন। তবে, তার বেলিজ প্রবেশের কারণ এখনো স্পষ্ট নয় এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আকিনিয়েলা এর আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীতে কাজ করেছেন এবং ফ্লোরিসেন্টের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ফুটবল কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা গেছে।
বেলিজ পুলিশের কমিশনার, চেস্টার উইলিয়ামস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং পাইলটের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টামি ব্রুস এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বিমানের সকল যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিমান সংস্থা ট্রপিক এয়ার বেলিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্সিমিলিয়ান গ্রিফ পাইলটের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, তাদের পাইলটরা যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলায় দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত।
ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস