ঘড়ির দুনিয়ায় নতুন চমক! ফ্যাশন দুনিয়ায় আলোড়ন!

ঘড়ির জগতে এক নতুন ধারার উন্মোচন: ঘড়ি এখন শুধুই সময় দেখানোর যন্ত্র নয়, ফ্যাশনেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে, ডিজাইনাররা এখন এমন সব ঘড়ি তৈরি করছেন যা দেখলে ঘড়ি মনে হতেই পারে না।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ওয়াচেস অ্যান্ড ওয়ান্ডার্স’ প্রদর্শনীতে (Watches and Wonders trade fair) এইসব অভিনব ডিজাইন নজর কেড়েছে সকলের।

প্রদর্শনীতে অন্যতম আকর্ষণ ছিল শ্যানেলের (Chanel) ‘কিস মি’ ঘড়িটি। দেখতে অনেকটা লিপস্টিকের মতো, যা আসলে একটি ঘড়ি। হলুদ বেরিল (beryl) পাথরের কারুকার্য করা এই ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছে সোনার পাতে।

এছাড়াও, শ্যানেল তাদের সংগ্রহে এনেছে ‘প্রটেক্ট মি’ এবং ‘গিভ মি লাক’-এর মতো আকর্ষণীয় ঘড়ি।

শুধু শ্যানেলই নয়, এই দৌড়ে রয়েছে আরও অনেক নামকরা ব্র্যান্ড। ভ্যান ক্লীফ অ্যান্ড আর্পেলস (Van Cleef & Arpels) তাদের ক্লাসিক ‘কাডেনাস’ (Cadenas) ঘড়িটিকে নতুন রূপে এনেছে।

এই ঘড়িটি দেখতে অনেকটা ব্রেসলেটের মতো, যা ঘড়ি এবং গয়নার যুগলবন্দী। কার্তিয়ের (Cartier) -এর ‘প্যান্থার’ (Panthère) জুয়েলারি ঘড়িও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।

বাঘের মুখ আকৃতির এই ঘড়ি একদিকে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনই সময় দেখার কাজটিও এতে সহজে করা যায়। কার্তিয়ের-এর ‘ট্যাঙ্ক আ গুশেটস’ (Tank à Guichets) ঘড়িটিও তাদের ঐতিহ্যপূর্ণ ডিজাইনকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে।

এই অভিনবত্বের ছোঁয়া লেগেছে নিলামেও। সম্প্রতি ‘সotheby’স’-এর (Sotheby’s) ‘এরিয়া ৫১’ (Area 51) নিলামে বিশেষ ধরনের ঘড়িগুলো বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।

যেখানে দুর্লভ আকারের এবং ভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি ঘড়িগুলো প্রায় ১.৬ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

তবে, যারা একটু সাধারণ ডিজাইন পছন্দ করেন, তাদের জন্য রয়েছে পেনডেন্ট ঘড়ি। একসময় ফ্যাশন দুনিয়ায় এর বেশ কদর ছিল, যা আবার ফিরে এসেছে।

জ্যাগার-লীকুলত্র (Jaeger-LeCoultre) এবং রিচার্ড মিলের (Richard Mille) মতো ব্র্যান্ডগুলোও এখন নেকলেস ঘড়ি তৈরি করছে। পিয়াগে (Piaget) তাদের ঐতিহ্যবাহী পেনডেন্ট ঘড়িগুলোকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে, যেখানে রুবি পাথরের ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

ডিওরের (Dior) ‘গেম ডিওর’ (Gem Dior) ঘড়িগুলোও পেনডেন্ট আকারে পাওয়া যাচ্ছে।

এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘড়ি প্রস্তুতকারকরা এখন নারীদের রুচি ও চাহিদার দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।

অন্যদিকে যেমন ঐতিহ্যকে ধরে রাখা হচ্ছে, তেমনই নতুনত্ব যোগ করার চেষ্টা চলছে। ঘড়ি এখন আর সময়ের হিসাব রাখার যন্ত্র হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি ফ্যাশন এবং আত্মপ্রকাশের একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন (CNN)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *