মে মাসের আসল হিসাব! প্রিমিয়ার লিগে টাকার ঝনঝনানি!

শিরোনাম: প্রিমিয়ার লিগের টাকার খেলা: শীর্ষ দলগুলো আসলে কত আয় করে?

ফুটবল এখন আর শুধু খেলা নয়, এটি একটি বিশাল ব্যবসা। সারা বিশ্বের মতো, বাংলাদেশেও প্রিমিয়ার লিগের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।

কোটি কোটি দর্শক নিয়মিত এই লিগের খেলাগুলো উপভোগ করেন। মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি দলগুলোর আর্থিক বিষয়গুলোও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

আসুন, জেনে নেওয়া যাক প্রিমিয়ার লিগে দলগুলো কীভাবে অর্থ উপার্জন করে এবং তাদের আয়ের পরিমাণ কেমন।

প্রিমিয়ার লিগে দলগুলোর আয়ের প্রধান উৎসগুলো হলো:

  • পুরস্কারের অর্থ (Merit Payments): লিগে দলের স্থান অনুযায়ী এই অর্থ নির্ধারিত হয়।
  • টিভি স্বত্ব থেকে আয় (Broadcast Rights): দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্প্রচার স্বত্ব থেকে দলগুলো বিশাল অঙ্কের অর্থ পায়।
  • টিভিতে ম্যাচ সম্প্রচার বাবদ অর্থ (Facility Fees): যে দলগুলোর খেলা টিভিতে বেশিবার দেখানো হয়, তারা এই খাতে বেশি আয় করে।
  • বাণিজ্যিক আয় (Commercial Revenue): লিগের বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে প্রাপ্ত অর্থও দলগুলোর আয়ের একটি অংশ।

গত মৌসুমে, প্রিমিয়ার লিগের প্রতিটি দল তাদের অংশগ্রহণের জন্য সর্বনিম্ন প্রায় ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বাজার অনুযায়ী) থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত আয় করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন হয়, তবে তারা পুরস্কার বাবদ ভালো একটা অঙ্ক পাবে।

এছাড়াও, তারা টিভি স্বত্ব এবং বাণিজ্যিক আয় থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ লাভ করবে। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রায় ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার “পুরস্কারের অর্থ” হিসেবে পেয়েছিল।

এছাড়াও, তারা টিভি স্বত্ব থেকে প্রায় ১০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাণিজ্যিক আয় থেকে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছিল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা দলগুলোর আর্থিক লাভ হয় আরও বেশি।

উদাহরণস্বরূপ, আর্সেনাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুবাদে প্রায় ২১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।

তাদের চেয়ে সামান্য কম, প্রায় ২১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি।

শীর্ষ দলগুলোর বাইরে, মাঝারি সারির দলগুলোও প্রিমিয়ার লিগ থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করে।

উদাহরণস্বরূপ, গত মৌসুমে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ক্রিস্টাল প্যালেস প্রায় ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।

অন্যদিকে, যারা রেলিগেশন জোনে ছিল, তারাও প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুবাদে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পেয়েছে।

গত মৌসুমে, সবচেয়ে নিচে থাকা দল শেফিল্ড ইউনাইটেড প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।

প্রিমিয়ার লিগের এই বিশাল আর্থিক কাঠামো, বিশ্বের অন্যান্য অনেক লিগের তুলনায় এটিকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

এই লিগের দলগুলোর আর্থিক সক্ষমতা তাদের খেলোয়াড় কেনা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশের ফুটবলের দিকে তাকালে, প্রিমিয়ার লিগের এই বিশাল অর্থের বিষয়টি একটি ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।

এখানে ক্লাবগুলোর আর্থিক দুর্বলতা একটি বড় সমস্যা।

প্রিমিয়ার লিগের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ, বাংলাদেশের ফুটবলকে উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি বড় উদাহরণ হতে পারে।

তবে, এটি সম্ভব করতে হলে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *