বসন্তের আকাশে ঝলমলে উল্কাপাত, যা আপনার চোখে এনে দিতে পারে নক্ষত্রের বৃষ্টি! প্রতি বছর, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে, পৃথিবী যখন ধূমকেতু থ্যাচারের ফেলে যাওয়া ধূলিকণা এবং পাথরের ধ্বংসাবশেষের ভেতর দিয়ে যায়, তখন এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়।
একেই আমরা বলি ‘লyrid’ উল্কাবৃষ্টি (Lyrid meteor shower)।
আসুন, জেনে নিই কিভাবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। আগামী কয়েকদিন ভোর রাতের আকাশে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবারের উল্কাবৃষ্টিতে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬টির মতো উল্কা দেখা যেতে পারে। তবে, উজ্জ্বল আলো এবং মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে, দৃশ্যমানতা আরও ভালো হবে।
উল্কাবৃষ্টি আসলে কী? সহজ ভাষায় বললে, এটি মহাকাশে ভেসে বেড়ানো ধূলিকণা আর পাথরের কণা, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের ঘর্ষণে জ্বলে ওঠে।
এদেরকেই আমরা ‘তারা খসা’ বা ‘ঝরে পড়া তারা’ হিসেবে দেখি। মূলত, ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকেই এই কণাগুলোর সৃষ্টি হয়।
এই দৃশ্য দেখার জন্য বিশেষ কোনো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। শহরের আলো থেকে দূরে, খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ালেই হলো। ভোর রাতের দিকে, যখন আকাশ পরিষ্কার থাকে, তখন এই দৃশ্য দেখা সবচেয়ে ভালো।
যাদের শহর বা আশেপাশে বাড়ি, তারা চেষ্টা করুন উঁচু কোনো স্থানে যেতে, যেখানে আলো কম। রাতের আকাশে যত কম আলো, দৃশ্য তত স্পষ্ট হবে।
এছাড়াও, একটি বিষয় মনে রাখতে হবে – তারা খসার দৃশ্য উপভোগ করার সময় মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করা উচিত না। এতে চোখের আলো কমে যায় এবং ভালোভাবে তারা দেখা যায় না।
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকুন, দেখবেন তারা বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে!
যদি আপনি এই দৃশ্য মিস করেন, তাহলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মে মাসের শুরুতে, ‘ইটা অ্যাকুয়ারিড’ (Eta Aquarids) নামে আরও একটি উল্কাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস