পোপ ফ্রান্সিসের অসুস্থতা : এবারের ইস্টার কেমন কাটবে?
এ বছর পবিত্র ঈস্টার পালনকালে পোপ ফ্রান্সিসের অংশগ্রহণে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যেতে পারে। গুরুতর অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পর তিনি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট শারীরিক দুর্বলতার কারণে জনসাধারণের মাঝে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলতে পারছেন না তিনি।
সাধারণত, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম হল ইস্টার। এই সময়ে পোপের উপস্থিতিতে বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, পোপ ফ্রান্সিসকে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। তাই ভ্যাটিকানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কার্ডিনালদের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে। যদিও জানা গেছে, ঐতিহ্যপূর্ণ ‘ওয়ে অফ দ্য ক্রস’-এর জন্য ধ্যানমূলক বার্তাগুলো প্রস্তুত করেছেন স্বয়ং পোপ ফ্রান্সিস।
চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললেও, ইস্টার উৎসবে ভক্তদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন পোপ। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আকস্মিকভাবে রোমের একটি কারাগারে যান এবং সেখানকার বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি জানান, এবার পবিত্র বৃহস্পতিবারের ঐতিহ্যপূর্ণ ‘পাদ প্রক্ষালন’ অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি অংশ নিতে পারবেন না। তবে তিনি তাদের জন্য প্রার্থনা করবেন এবং তাদের পরিবারের পাশে থাকার কথা জানান।
পোপের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। সম্প্রতি তিনি সাধারণ পোশাকে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকাতেও যান। এমন পরিস্থিতিতে ইস্টার সানডেতে তিনি ‘উরবি এট অরবি’ (Urbi et Orbi) আশীর্বাদ প্রদান করবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এই আশীর্বাদ সাধারণত পোপ নিজেই দিয়ে থাকেন।
এদিকে, ইস্টার উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স পরিবারসহ ভ্যাটিকান সিটিতে এসেছেন। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। তবে অভিবাসন নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য রয়েছে। ভেন্স প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করে পোপ ফ্রান্সিস একটি চিঠিও লিখেছিলেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পোপ প্রায়ই বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এবারও হয়তো তেমন কিছু ঘটতে পারে। সবমিলিয়ে, পোপের স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতির কারণে এবারের ইস্টার উদযাপন কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন