মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা কমিয়ে দিতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও।
এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে।
সিনেটর রুবিও’র এই মন্তব্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইউক্রেন নীতিতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যদিও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি, তবে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনা এবং যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয়তা কমে যেতে পারে।
এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কৌশলগত বিষয়গুলো উঠে আসতে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। একই সঙ্গে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে ফেরানোর জন্য বিভিন্ন কূটনৈতিক পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে দেশটি।
কিন্তু রুবিও’র সাম্প্রতিক বক্তব্যে মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে এখন পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণ হতে পারে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ অথবা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক নতুন কোনো হিসাব-নিকাশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্ভাব্য নীতি পরিবর্তনের ফলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এবং এর আন্তর্জাতিক প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ, শান্তি আলোচনাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
অন্যদিকে, এই পরিবর্তনের ফলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশগুলো হয়তো ইউক্রেন সংকট সমাধানে আরও বেশি সক্রিয় হতে পারে। বিশেষ করে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়েছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছানো জরুরি।
সিনেটর মার্কো রুবিও’র এই মন্তব্যের পর, হোয়াইট হাউস বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে যেকোনো পরিবর্তন বিশ্ব শান্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এই পরিবর্তনের ফলে, বাংলাদেশের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, সে বিষয়েও এখন অনেকের দৃষ্টি রয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা