শীর্ষ শেফ প্রতিযোগীতার নতুন সঞ্চালক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বললেন ক্রিস্টেন কিস।
রান্না বিষয়ক জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘টপ শেফ’-এর পরিচিত মুখ ক্রিস্টেন কিস। এই অনুষ্ঠানের দশম সিজনের বিজয়ী তিনি, সেই সুবাদে দর্শক মহলে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।
সম্প্রতি তিনি এই শোয়ের সঞ্চালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এই নতুন ভূমিকায় নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সেই সূত্রে উঠে এসেছে তার জীবনের নানা দিক, সেই সঙ্গে সহকর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণার কথাও।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বেড়ে ওঠা ক্রিস্টেন কিসের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ায়। রান্নার জগতে তার পথচলা শুরু হয়েছিল একটি প্রি treatment-এর দোকানে কাজ করার মাধ্যমে। এরপর বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি পৌঁছেছেন খ্যাতির শীর্ষে।
বর্তমানে তিনি টেক্সাসের অস্টিনে ‘আরলো গ্রে’ নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক। ‘টপ শেফ’ অনুষ্ঠানে আসার আগে তিনি একাধিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে কাজ করেছেন।
পদ্মা লক্ষ্মীর জায়গায় ‘টপ শেফ’-এর সঞ্চালিকা হিসেবে কিস্টেনের এটি দ্বিতীয় সিজন। সম্প্রতি প্রকাশিত তার আত্মজীবনী ‘অ্যাক্সিডেন্টালি অন পারপাস’-এ নিজের জীবনের নানা কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
রান্নার জগৎ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের নানা উত্থান-পতনের কথা অকপটে লিখেছেন তিনি।
কিস্টেন জানান, টেলিভিশন জগতে কাজ করাটা তার কাছে অনেকটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে প্রতিটি সুযোগ তাকে আরও ভালো মানুষ হিসেবে তুলে ধরেছে।
তিনি মনে করেন, নিজেকে তুলে ধরার এবং নিজের যোগ্য স্থান তৈরি করার ক্ষেত্রে এই কাজগুলো তাকে সাহায্য করেছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কিস্টেন জানান, শুরুতে তিনি বেশ নার্ভাস ছিলেন। সে সময় তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন ‘টপ শেফ’-এর বিচারক টম ক colicchio।
তিনি কিস্টেনকে সহজ ভাষায় বুঝিয়েছিলেন, কীভাবে প্রতিযোগীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ক colicchioের সেই পরামর্শ কিস্টেনকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
তিনি বলেন, ক colicchio তাকে বলেছিলেন, “প্রতিযোগীদের সঙ্গে সাধারণভাবে কথা বলো, যেমনটা তুমি তোমার রেস্টুরেন্টের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলো। এটাই আসল বিষয়।”
কিস্টেন মনে করেন, এই পরামর্শ তাকে সাহায্য করেছে। কারণ এর মাধ্যমে তিনি কাজের আসল গুরুত্বটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।
রান্নার প্রতি ভালোবাসা এবং মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের বিষয়টি তার কাছে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা এই শোয়ের মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়েছে।
কিস্টেন আরও জানান, ‘টপ শেফ’-এর মঞ্চে আসার পর তিনি এশীয়-আমেরিকান এবং কুইয়ার সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছেন, তা তাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে।
এই সমর্থন তার কাজের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানের ফাইনালের একটি বিশেষ মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে কিস্টেন বলেন, বিজয়ীর নাম ঘোষণার সময় তার মনে হয়েছিল, যেন সবকিছু নতুন করে শুরু হচ্ছে। তার মতে, এই শো শেষ হওয়ার পরিবর্তে নতুন দিগন্তের সূচনা করে।
তথ্যসূত্র: পিপল