বিয়েতে ভাই’কে ডাকার জন্য বাবার চাপ! রাজি না হওয়ায় নববধূ’র সিদ্ধান্ত!

নববধূ তার পরিবারের কাছ থেকে তীব্র চাপের শিকার হচ্ছেন—আগামী আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য তার বিয়েতে যেন তিনি তার ভাইটিকে আমন্ত্রণ জানান। যদিও তাদের মধ্যে গত দুই বছর ধরে কোনো সম্পর্ক নেই। বিয়ের মতো একটি আনন্দের দিনে এমন টানাপোড়েন তৈরি হওয়ায় তিনি দ্বিধায় পড়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরামর্শ চেয়েছেন।

উৎস অনুযায়ী, ২৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর ভাই ২৮ বছর বয়সী। তাদের সম্পর্ক একসময় বেশ ভালো ছিল, কিন্তু গত কয়েক বছরে তা তিক্ততায় রূপ নেয়।

এমনকি তারা দু’জন দু’জনের সঙ্গে কথাই বলেন না। তাদের সম্পর্কের অবনতির শুরুটা হয় সাত বছর আগে, যখন তারা একসঙ্গে থাকতেন।

প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। তরুণীর অভিযোগ, তার ভাই বন্ধুদের তার ঘরে থাকতে দিতেন, যখন তিনি সেখানে থাকতেন না।

এমনকি ভাইটি যখন হতাশায় ভুগছিলেন, তখন তিনি যথেষ্ট সহযোগিতা করেননি—এমন অভিযোগও ছিল।

পরে ওই তরুণী তার বাগদত্তের সঙ্গে অন্য রাজ্যে চলে যান। সেই সময়ে তার ভাই মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।

তরুণীর দাবি, তার ভাই কোনো রুমমেট খুঁজে পাননি এবং তার অভিভাবকরাও তার ভাড়ার খরচ দিতে রাজি ছিলেন না।

অন্যদিকে, ওই তরুণীর পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবন ভালোভাবেই চলছিল। তিনি জানান, ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি প্রায়ই তার প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন না—এমন অভিযোগ শুনতে হতো।

তিনি ভাইকে ফোন করে খোঁজখবর নিতেন এবং একবার নিজের শহরেও ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার কোনো কৃতজ্ঞতাবোধ ছিল না।

ওই তরুণী আরও জানান, প্রায় দু’বছর আগে তিনি ভাইটির সঙ্গে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেন। এরপর একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে তাদের দেখা হলেও, ভাই তাকে দেখেই চোখ বাঁকিয়েছিলেন।

এমন পরিস্থিতিতে পরিবার চাচ্ছে তিনি যেন বিয়েতে ভাইকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তিনি চান না।

এমনকি তার বাগদত্তও এতে রাজি নন। এমন অবস্থায় তিনি কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা চলছে। অনেকে মনে করছেন, ওই তরুণীর নিজের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

কারণ, যিনি তার প্রতি কোনো কৃতজ্ঞতা দেখান না, তাকে বারবার সুযোগ দেওয়ার কোনো মানে হয় না।

আবার কেউ কেউ বলছেন, বিয়ের মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে, এতে যদি সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে অনুশোচনা হতে পারে।

সবশেষে, এটা স্পষ্ট যে, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক সবসময় জটিল হয়। প্রত্যেকের নিজস্ব চাওয়া-পাওয়া থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে নিজের ভালো লাগা এবং পরিবারের সম্মানের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খুঁজে বের করা কঠিন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *