ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (FSU) বন্দুক হামলায় নিহত ২, আহত ৬ জনের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী টল্লাহাসির ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (FSU) এক বন্দুক হামলায় দুইজন নিহত এবং অন্তত ছয় জনের বেশি আহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী ছিলেন ২০ বছর বয়সী ফিনিক্স ইকনর নামের এক যুবক। তিনি নিজেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি এক স্থানীয় শেরিফের ডেপুটি-এর ছেলে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারী তার মায়ের ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন।
বন্দুকটি একসময় তার মায়ের সরকারি দায়িত্ব পালনের অস্ত্র ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় ছাত্র ইউনিয়নের কাছে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্র-শিক্ষকরা আত্মরক্ষার্থে বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন।
অনেককে ছাত্র ইউনিয়নের ভেতরের একটি বোলিংয়ের গ্যালারি এবং মালবাহী লিফটের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীকে আটকের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
তবে হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বন্দুক হামলার ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা একটি উদ্বেগের বিষয়।
বন্দুক violência নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৮১টির বেশি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অধিকার দেওয়া হয়েছে।
তবে, দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বন্দুক আইনের ভিন্নতা রয়েছে।
এছাড়া, বন্দুক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
কিছু সংগঠন বন্দুক আইনের কড়াকড়ি চায়, আবার কারো কারো মতে, এর ফলে নাগরিকদের অধিকার খর্ব হয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা