বিখ্যাত অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী লাইজা মিনেল্লি’র উপস্থিতি আবারও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, এবার রুপাল’স ড্র্যাগ রেস সিজন ১৭-এর গ্র্যান্ড ফাইনালে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া এই অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং “গিভিং আস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড” সম্মানে ভূষিত হন।
শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল তারিখে প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে ৭৯ বছর বয়সী লাইজা মিনেল্লিকে মঞ্চে দেখা যায়, যেখানে তিনি ক্লাসিক ব্ল্যাক হ্যালস্টন পোশাকে সজ্জিত হয়ে বসেছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রুপালের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি তাঁর অভিনয় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
রুপাল যখন মিনেল্লিকে তাঁর সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন, তখন দু’জনের মধ্যে একটি মজাদার কথোপকথন হয়। মিনেল্লি মজা করে বলেন, “আমার তো সাত ঘণ্টা লেগেছে, আমি তো তোমার চেয়ে বয়স্ক।
অনুষ্ঠানে লাইজা মিনেল্লি তাঁর মা, অভিনেত্রী জুডি গারল্যান্ড এবং বাবা পরিচালক ভিনসেন্ট মিনেল্লির কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, কীভাবে তাঁর বাবা-মায়ের কাজ দেখতে ভক্তরা এমজিএম স্টুডিওতে ভিড় করতেন।
অনুষ্ঠানে লাইজা মিনেল্লির ছোট ভাই জোয়ি লফটও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, জুডি গারল্যান্ড “হ্যাপিইনেস ইজ এ থিং কলড জো” গানটি গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগে, ফাইনালিস্টদের মধ্যে ছিলেন লেক্সি লাভ, ওনিয়া নার্ভ, জুয়েলস স্পার্কলস এবং স্যাম স্টার। শেষ পর্যন্ত, ওনিয়া নার্ভ “আমেরিকা’স নেক্সট ড্র্যাগ সুপারস্টার” খেতাব জয় করেন।
এছাড়া, মিস কঞ্জেনিয়ালিটি খেতাব জেতেন ক্রিস্টাল এনভি এবং কুইন অফ শি ডান অলরেডি ডান হ্যাড হার্সেস খেতাব জেতেন সুজি টুট।
“রুপাল’স ড্র্যাগ রেস” একটি জনপ্রিয় আমেরিকান রিয়েলিটি শো, যেখানে শিল্পীরা ফ্যাশন, পারফর্মেন্স এবং মেকআপের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভার প্রমাণ দেন। এই অনুষ্ঠানটি প্রতি শুক্রবার এমটিভি-তে প্রচারিত হয়।
তথ্যসূত্র: পিপল