মার্কিন-ইরান: গোপন বৈঠকে কী? পরমাণু আলোচনা ঘিরে চাঞ্চল্য!

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইতালির রাজধানী রোমে। এর আগে, উভয় দেশের প্রতিনিধিরা গত সপ্তাহে ওমানে মিলিত হয়েছিলেন।

এই আলোচনাগুলোতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল ওমান। খবরটি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে।

তারা বর্তমানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে, যা অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার কাছাকাছি।

বর্তমানে, উভয় পক্ষই একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তবে, উভয় দেশের মধ্যেই এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দেখা যাচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইরানের উপর কঠোর শর্ত চাপানোর কথা শোনা যাচ্ছে, যেখানে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।

ইরানের পক্ষ থেকে একে “অগ্রহণযোগ্য” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির (জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা জেসিওপিএ) অধীনে, ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে রাজি হয়েছিল এবং এর বিনিময়ে তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই চুক্তি থেকে সরে আসায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।

যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কিভাবে যাচাই করা হবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে। তারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা তৈরির উপাদানগুলোর বিষয়েও নিশ্চিত হতে চাইছে।

তবে, ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করা হবে না।

ইসরায়েল মনে করে, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা উচিত নয়। তারা এই বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বিবেচনা করতে পারে।

আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।

এখন দেখার বিষয়, এই আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান আসে কিনা। এর পাশাপাশি, বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর থাকবে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *