বিগত বছরটিতে, বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিল্পী টেইলর সুইফটের একটি অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছিল— ‘দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’। অ্যালবামটি প্রকাশের পর এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও, এক বছর পর এখন স্পষ্ট যে, অ্যালবামটি আসলে সুইফটের শিল্পী জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
টেইলর সুইফট, যিনি বর্তমানে বিশ্ব সঙ্গীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, কয়েক বছর ধরেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন। তার গানগুলো যেমন শ্রোতাদের মন জয় করেছে, তেমনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
এর মধ্যেই, তিনি একসঙ্গে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন। গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে সেরা অ্যালবাম বিভাগে সর্বোচ্চ সংখ্যকবার পুরস্কার জেতার রেকর্ড তারই দখলে।
পুরোনো গানগুলো নতুন করে রেকর্ড করার মাধ্যমে তিনি নিজের কাজের ওপর অধিকার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও, তার ‘এরাস ট্যুর’ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি আয় করা কনসার্টগুলোর মধ্যে অন্যতম।
২০২৪ সালের ১৯শে এপ্রিল প্রকাশিত ‘দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ অ্যালবামটি ছিল সুইফটের শিল্পী জীবনের এক নতুন দিক। এই অ্যালবামে প্রেম, বিচ্ছেদ, খ্যাতি এবং ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন—সবকিছুই যেন শিল্পী অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে তুলে ধরেছেন।
৩১টি গানের এই বিশাল সংগ্রহে সুইফট তার ভেতরের কথাগুলো অত্যন্ত খোলামেলাভাবে প্রকাশ করেছেন।
শুরুর দিকে অ্যালবামটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর গুরুত্ব আরো স্পষ্ট হয়েছে। ‘বাট ড্যাডি আই লাভ হিম’ গানটিতে, যারা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করেন, তাদের প্রতি যেন একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
আবার ‘ক্লারা বো’ গানে, সঙ্গীত জগতের ভেতরের কিছু দিক তুলে ধরেছেন, যেখানে খ্যাতি এবং সাফল্যের পেছনে থাকা কঠিন বাস্তবতাগুলো স্পষ্ট হয়।
এই অ্যালবামে সুইফটের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু গভীর ক্ষতও উন্মোচিত হয়েছে, যা শ্রোতাদের আবেগ ছুঁয়ে যায়। ‘দ্য স্মলেস্ট ম্যান হু এভার লিভড’ এবং ‘ক্লো অর স্যাম অর সোফিয়া অর মার্কাস’-এর মতো গানগুলোতে বিচ্ছেদের বেদনা এবং সম্পর্ক ভাঙনের কষ্ট অত্যন্ত মর্মস্পর্শীভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আলোচনা-সমালোচনার ঊর্ধ্বে, ‘দ্য টর্চার্ড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ নিঃসন্দেহে টেইলর সুইফটের শিল্পী জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। খ্যাতির শিখরে থাকা একজন শিল্পীর ব্যক্তিগত ভাবনা, আবেগ এবং অভিজ্ঞতার এক মূল্যবান দলিল হিসেবে এই অ্যালবামটি ইতিহাসে স্থান করে নেবে।
তথ্যসূত্র: পিপল