ইতালির মনোরম লেকের ধারে, ষাটের দশকের নস্টালজিয়া: হিলারি ওয়াকারের বাড়ি
ইতালির শান্ত লেক মারগোজ্জোর তীরে, ১৯৬৩ সালে নির্মিত একটি বাড়ি যেন সময়ের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই বাড়ির বর্তমান মালিক হিলারি বেল ওয়াকার, যিনি একজন আমেরিকান ফ্যাশন উদ্যোক্তা।
পুরনো দিনের প্রতি ভালোবাসাই তাকে এই বাড়িটির প্রতি আকৃষ্ট করেছিল। সান ফ্রান্সকোর বাসিন্দা হিলারি, ২৩ বছর বয়সে ইতালিতে আসেন এবং তারপর থেকেই এখানকার জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে যান।
লেক মারগোজ্জোর মনোরম দৃশ্য আর ষাটের দশকের স্থাপত্যশৈলী—এই দুটোই হিলারির মন জয় করে নেয়। ২০১৬ সালে, একটি রিয়েল এস্টেট ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে গিয়ে তিনি বাড়িটির সন্ধান পান।
দূর থেকে বাড়িটি দেখে মুগ্ধ হয়ে, তিনি না গিয়েই কিনে ফেলেন।
বাড়ির অন্দরসজ্জা দেখলে যেন ষাটের দশকে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে, হিলারি বিভিন্ন বাজার ও পুরনো দোকান থেকে আসবাবপত্র সংগ্রহ করেছেন।
বসার ঘরে পুরনো দিনের দুটি মিসোনি কার্পেট, যা সবুজ, বেগুনী, গোলাপী—এমন নানা রঙের মিশেলে তৈরি, ঘরটিকে অন্যরকম রূপ দিয়েছে। বারগান্ডি রঙের সিলিং ঘরটির আবহ আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
মেঝেতে সবুজ রঙের টাইলসগুলো এখনো সেই পুরনো দিনের স্মৃতি বহন করে। সুইডিশ চিত্রশিল্পীর আঁকা ষাটের দশকের ওয়ালপেপার ঘরটির পুরনো আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তোলে।
বাড়ির বাইরে, পুরনো একটি পাথরের টেবিল রাখা আছে, যা বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করার জন্য আদর্শ। হিলারি এবং তাঁর মেয়ে মিলানে থাকেন, তবে স্কুল ও কাজের ফাঁকে এখানে এসে সময় কাটান।
এখানে স্পটিফাইয়ের বদলে রেকর্ড প্লেয়ার, নেটফ্লিক্সের বদলে ডিভিডি প্লেয়ার ব্যবহার করা হয়। বাজারের পরিবর্তে স্থানীয় দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হয়। যেন এক অন্যরকম জীবন।
এই বাড়িটি যেন এক স্বপ্নপুরী। পাহাড় আর স্বচ্ছ জলের মাঝে, হিলারি ও তাঁর মেয়ের জন্য তৈরি হয়েছে এক শান্তির আশ্রয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান