ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (EPL) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচে বোর্নমাউথ এবং ক্রিস্টাল প্যালেস ১-১ গোলে ড্র করেছে। ইউরোপিয়ান ফুটবলে খেলার স্বপ্ন দেখা বোর্নমাউথের জন্য এই ড্র ছিল বেশ হতাশাজনক।
কারণ, প্রতিপক্ষ ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচের একটা বড় সময় ১০ জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলেছে।
ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ দিকে ক্রিস্টাল প্যালেসের খেলোয়াড় ক্রিস রিচার্ডস লাল কার্ড পেলে তাদের দল বেশ চাপে পরে যায়।
রেফারি স্যাম ব্যারটের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণেও খেলাটিতে উত্তেজনা দেখা যায়। বিশেষ করে, বোর্নমাউথের অ্যালেক্স স্কটের একটি ফাউলের জন্য একই শাস্তি না দেওয়ায় অনেক দর্শক অসন্তুষ্ট হন।
বোর্নমাউথের ম্যানেজার আন্দোনি ইওলা খেলা শেষে বলেন, “ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা এই ফলাফলে খুশি হতে পারি না। আমাদের জেতা উচিত ছিল।”
যদিও এই ড্রয়ের পরেও বোর্নমাউথ তাদের প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পয়েন্টের রেকর্ড গড়েছে। তাদের হাতে এখনো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল এবং অ্যাস্টন ভিলার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ রয়েছে।
ক্রিস্টাল প্যালেসের ম্যানেজার অলিভার গ্লাসনার জানিয়েছেন, নিউক্যাসলের কাছে ৫-০ গোলে হারের পর দলের খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনা করে তিনি তাদের মনোবল ফিরিয়ে এনেছেন।
দলের রাইট উইং ব্যাক ড্যানিয়েল মুনোযের ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি বাড়ানোটাও তাদের জন্য ইতিবাচক দিক। আগামী সপ্তাহে অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে এফএ কাপের সেমিফাইনালের জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ম্যাচে রেফারিদের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে গ্লাসনার বলেন, “আমাদের ধারাবাহিকতা দরকার। হয় দুটি লাল কার্ড দেখাতে হবে, না হয় কোনো লাল কার্ডই নয়। দ্বিতীয়ার্ধে খেলোয়াড়দের মানসিকতা ধরে রাখা কঠিন ছিল, তবে আমি তাদের মনোভাবে খুশি।”
বোর্নমাউথের হয়ে আক্রমণভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন অ্যান্টনি সেমেনিয়ো। অন্যদিকে, জাস্টিন ক্লুইভার্টও বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ভীতি ছড়ান।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ক্রিস্টাল প্যালেস জয় ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেও, মুনোযের ক্রস থেকে পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। অন্যদিকে, লন্ডনে বোর্নমাউথের জয়খরা এখনো কাটেনি।
আগামী শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেস তাদের এফএ কাপের সেমিফাইনালে অ্যাস্টন ভিলার মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে, ইওলার সাথে বোর্নমাউথের মালিক বিল ফোলির আগামী বছর চুক্তি বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান