গ্লস্টার: গ্যালারিতে উন্মাদনা, বিতর্কের জন্ম!

ইংল্যান্ডের রাগবি জগতে একটি নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়েছে, যেখানে মাঠের বাইরে দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ “আওয়ে জোন” তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো, খেলা উপভোগ করার সময় দর্শকদের মধ্যে আরও বেশি উৎসাহ তৈরি করা এবং খেলাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।

সম্প্রতি, সারাসেনস এবং গ্লস্টার রাগবি ক্লাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি ম্যাচে এই পরীক্ষা চালানো হয়।

এই “আওয়ে জোন” তৈরি করার ধারণাটি এসেছে মূলত ফুটবল মাঠের দর্শক-সংস্কৃতি থেকে। সাধারণত, ফুটবল খেলায় মাঠের একপাশে দর্শকদের একটি নির্দিষ্ট দল থাকে, যারা তাদের দলের সমর্থনে গান গায় এবং নানা ধরনের উৎসাহমূলক কাজ করে।

রাগবিতে এই ধরনের সংস্কৃতি এখনো সেভাবে দেখা যায় না, তবে কর্তৃপক্ষের ধারণা, এই “আওয়ে জোন”-এর মাধ্যমে রাগবি খেলাতেও দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা বাড়ানো সম্ভব।

গ্লস্টার দলের সমর্থকরা এই “আওয়ে জোন”-এ একত্রিত হয়েছিলেন এবং তাদের প্রিয় দলের সমর্থনে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান ও গান গেয়েছেন।

তবে, এই উদ্যোগটি সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণীয় হয়নি। কিছু দর্শক মনে করেন, রাগবি খেলার ঐতিহ্য হলো পারস্পরিক সম্মান ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, যা এই ধরনের “আওয়ে জোন”-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

অন্যদিকে, অনেক দর্শক মনে করেন, এটি খেলার পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে।

ম্যাচে সারাসেনস দল ৩৬-১৪ পয়েন্টে জয়লাভ করে।

খেলার ফলাফল যা-ই হোক না কেন, “আওয়ে জোন”-এর ধারণাটি এরই মধ্যে রাগবি বিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

খেলা চলাকালীন সময়ে গ্লস্টার সমর্থকদের কিছু আচরণ নিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল, তবে কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

গ্লস্টারের কোচ জর্জ স্কিভিংটন এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং একে একটি ভালো পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রাগবি খেলার জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এবং বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশেও এর কদর বাড়ছে।

খেলাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা বাড়াতে এই ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

আগামীতে এই ধরনের আরও অনেক উদ্যোগ দেখা যেতে পারে, যা খেলাটিকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *