ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে ন্যাট স্কাইভার-ব্রান্ট। সম্প্রতি হেইদার নাইট পদত্যাগ করার পর নতুন কোচ শার্লট এডওয়ার্ডস এই অলরাউন্ডারকে পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিতে আগ্রহী।
যদিও বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন স্কাইভার-ব্রান্ট, তবে তার নেতৃত্বগুণ এবং অভিজ্ঞতার ওপর আস্থা রাখছেন কোচ।
ইংল্যান্ড দলের জন্য আসন্ন সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, পরের বছর ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ সালের অ্যাশেজ সিরিজ—এসব বড় টুর্নামেন্টের আগে নতুন অধিনায়কের অধীনে দল কেমন করে, সেদিকেই সবার নজর।
নতুন কোচ শার্লট এডওয়ার্ডস মনে করেন, স্কাইভার-ব্রান্টের অভিজ্ঞতা এবং খেলোয়াড়ি মানসিকতা দলের জন্য খুবই জরুরি। তরুণ খেলোয়াড়—যেমন চার্লি ডিন এবং গ্রেস স্ক্রিভেন্সের চেয়েও তিনি এই মুহূর্তে যোগ্য।
তবে স্কাইভার-ব্রান্টের তিনটি ফরম্যাটেই খেলার সুযোগ কতটা থাকবে, সেটিও একটা আলোচনার বিষয়।
আসলে, গত কয়েক বছরে ইংল্যান্ড দলের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের।
এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয় তারা। এমন পরিস্থিতিতে দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেসের ওপর জোর দিচ্ছেন কোচ এডওয়ার্ডস।
নতুন কোচ হিসেবে এডওয়ার্ডস জানিয়েছেন, তার মূল লক্ষ্য হলো দলকে জেতানো। তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটা দলে এসেছি, যারা বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা রাখে।
আমাদের অনেক কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
উল্লেখ্য, এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার সময় এডওয়ার্ডস এবং স্কাইভার-ব্রান্ট একসঙ্গে কাজ করেছেন। এমনকি ২০১৬ সালে এডওয়ার্ডস যখন অবসর নেন, তার আগের বছর লর্ডসে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড দল।
আগামী ১ মে লর্ডসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই শুরু হবে ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মৌসুম।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান